ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

সৌম্য ঝড়ে চট্টগ্রামের জয়, ঝুলে রইলো তামিমদের ভাগ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
সৌম্য ঝড়ে চট্টগ্রামের জয়, ঝুলে রইলো তামিমদের ভাগ্য ছবি: শোয়েব মিথুন

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে এখন পর্যন্ত সফলতম দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম আরও একটি অনায়াস জয় তুলে নিল। অন্যদিকে আরও একবার পরাজয়ের কালো ছায়ায় প্লে-অফ অনিশ্চিত হয়ে রইলো ফরচুন বরিশালের।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলেছিল বরিশাল। জবাবে সৌম্য সরকার ও সৈকত আলীর ব্যাটে ভর করে ৮ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার সৌম্য ও সৈকত মিলেই ৯.৩ ওভারেই ৭৯ রান তুলে ফেলেন। সৈকত ৩৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলেও ব্যক্তিগত ১০ রানে আফিফ হোসেনের ক্যাচ মিসে জীবন পাওয়া সৌম্য ঠিকই ফিফটি তুলে নেন। শুধু তাই নয়, দলকে জয় থেকে মাত্র ৩১ রান দূরত্বে রেখে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬২ রানের ঝলমলে ইনিংস। ৩৭ বল স্থায়ী ইনিংসটি তিনি ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজিয়েছেন।

সৌম্য বিদায় নেওয়ার পর স্কোর বোর্ডে আরও ১১ রান যুক্ত হতেই মোহাম্মদ মিঠুন (৩) বিদায় নেন। সুমন খানের বলে উইকেটরক্ষক ইরফান শুকুরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক। তবে বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন মাহমুদুল হাসান জনি ও মোসাদ্দেক হোসেন। ২৭ বলে ৩ চারে ৩১ রান নিয়ে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন জনি। ১১ বলে ১২ রান আসে আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে।

বল হাতে বরিশালের সুমন খান ২টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি উইকেট তুলে নেন।  

এর আগে দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তামিম ইকবাল দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই দুজনের বিদায়ের পর খেই হারিয়ে ফেলে ফরচুন বরিশাল। সাইফ ও তামিমের ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৭ রান। সাইফকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন চট্টগ্রামের মোসাদ্দেক হোসেন। ড্রেসিং রুমের পথ ধরার আগে সাইফের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংস, যাতে চারের মার ছিল ৬টি, ছক্কা ২টি।  

বরিশালের রান ১০০ ছোঁয়ার পর বিদায় নেন অধিনায়ক তামিমও। ৩৯ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করা এই বাঁহাতি ওপেনারও মোসাদ্দেকের শিকার। নিজের বলেই ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক। তামিমের বিদায়ের পর বরিশালের হয়ে বলার মতো রান এসেছে কেবল আফিফ হোসেনের ব্যাটে। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১৬ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন চট্টগ্রামের মোসাদ্দেক, জিয়াউর রহমান এবং সঞ্জিত সাহা। এর মধ্যে মোসাদ্দেক ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেছেন মাত্র ১৬ রান। সমান ওভারে ২২ রান খরচ করে বরিশালের রানের চাকা আটকে রাখায় বড় ভূমিকা রেখেছেন সঞ্জিতও।

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সৌম্য সরকার।

এই নিয়ে ৭ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে ১২ পয়েন্ট হলো শীর্ষে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করা চট্টগ্রামের। আর হেরে খাদের কিনারে চলে গেছে বরিশাল। তবে ৭ ম্যাচে ২ জয় ও ৫ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে থাকা তামিমের দলের সামনে আরও একটি ম্যাচ আছে। সমান ম্যাচে মিনিস্টার রাজশাহীরও পয়েন্ট একই। ফলে প্লে-অফ নিশ্চিতের জন্য নিজেদের শেষ ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দুই দলকেই। অর্থাৎ দুই দলের সামনেই প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে জয় ভিন্ন অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।

এর আগে দিনের প্রথম খেলায় জেমকন খুলনাকে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে বেক্সিমকো ঢাকা। শেষ চার নিশ্চিত হয়েছে দুইয়ে থাকা খুলনারও। তবে ঢাকা এক ম্যাচ কম খেলেছে। ফলে দ্বিতীয় স্থানটিতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।