ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেটে করমর্দন না করার ধারা বজায় রইল। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নারী বিশ্বকাপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের আগে টসের সময় পাকিস্তানি অধিনায়ক ফাতিমা সানার সঙ্গে করমর্দন করতে অস্বীকৃতি জানান ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।
পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা এবং তার জবাবে পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। সেই তিক্ততা এবার ক্রিকেট মাঠেও ছড়িয়ে পড়েছে। পুরুষদের এশিয়া কাপে ‘হ্যান্ডশেক’ না করা থেকে শুরু করে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের উস্কানিমূলক অঙ্গভঙ্গি—সবই দেখা গেছে। এমনকি টুর্নামেন্টের শেষে এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) এবং পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড)-এর প্রধান মহসিন নকভির হাত থেকে ট্রফি নিতেও অস্বীকার করেছিল ভারতীয় দল।
নারী বিশ্বকাপে দুই দল মুখোমুখি হলে কী হবে, তা নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে জল্পনা চলছিল। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের বিষয়ে বোর্ডের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। অবশেষে ম্যাচের দিন সেই জল্পনার অবসান ঘটল।
টসের সময় ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত এবং পাকিস্তানি অধিনায়ক ফাতিমা সানা আলাদাভাবে মাঠে প্রবেশ করেন এবং একে অপরের দিকে তাকানওনি। টসের পর দুই অধিনায়ক উপস্থাপিকা মেল জোন্সের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের পথে চলে যান। একে অপরের থেকে তারা পুরো সময়টাই দূরত্ব বজায় রাখেন।
টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, নারী বিশ্বকাপে ভারত তাদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করেছে, অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে।
এমএইচএম