এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের শিরোপা জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাঁচ উইকেটের জয়ের পর এক্স–এ তিনি লিখেন, ‘খেলার মাঠে অপারেশন সিঁদুর।
মোদির এই বার্তায় সাড়া দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব। এএনআই–কে তিনি বলেন, ‘দেশের নেতা যখন সামনে থেকে খেলেন, তখন ভালো লাগে। মনে হয়েছে উনি স্ট্রাইক নিয়ে রান তুলছেন। সামনে স্যার দাঁড়িয়ে থাকলে খেলোয়াড়রা অবশ্যই আরও মুক্তভাবে খেলতে পারে। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পুরো দেশ এখন উদযাপন করছে। দেশে ফিরে আমরা আরও অনুপ্রেরণা আর প্রেরণা পাবো ভালো করার জন্য। ’
তবে শিরোপা উৎসবে বড় বিতর্ক দেখা দেয় ট্রফি গ্রহণকে ঘিরে। ভারতীয় দল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) চেয়ারম্যান ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মোহসিন নাকভির হাত থেকে শিরোপা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ কারণে চ্যাম্পিয়ন হয়েও ভারতীয় ক্রিকেটাররা কল্পিত ট্রফি হাতে ছবি তোলেন।
এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে সুর্যকুমার বলেন, ‘আমরা এটা প্রাপ্য ছিলাম। কোনো চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি না দেওয়ার ঘটনা আমি কখনো দেখিনি। ’
বিসিসিআই আগেই এসিসি–কে জানিয়েছিল, রাজনৈতিক ভূমিকা ও ভারতবিরোধী বক্তব্যের কারণে নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নেবে না ভারত।
অন্যদিকে, ভারতের কাছে হেরে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নকভি প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের জবাবে এক্স–এ লেখেন, ‘যদি যুদ্ধই গৌরবের মাপকাঠি হয়, তাহলে ইতিহাসে পাকিস্তানের হাতে ভারতের বহু অপমানজনক পরাজয় লিখিত আছে। ক্রিকেট ম্যাচ সেই সত্য বদলাতে পারবে না। খেলায় যুদ্ধ টেনে আনা হতাশার পরিচয় এবং খেলার চেতনাকেই কলঙ্কিত করে। ’
বিশ্লেষকদের মতে, নাকভির বক্তব্য ইতিহাসকে বিকৃত করার প্রয়াস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ থেকে শুরু করে কারগিল সংঘাত পর্যন্ত বহুবারই ভারতীয় সেনার কাছে পরাস্ত হয়েছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে মাঠে ভারত বারবার পাকিস্তানকে হারিয়েছে। ফাইনালেও ৫ উইকেটের জয়ে এশিয়া কাপ শিরোপা তুলে নেয় সুর্যকুমারের দল।
ফাইনালের পর ট্রফি বিতরণী অনুষ্ঠান দেরি হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা। শেষে ব্যক্তিগত পুরস্কার নেওয়ার সময়ও ভারতীয় ক্রিকেটাররা নকভিকে এড়িয়ে যান। শেষ পর্যন্ত শিরোপা ছাড়াই উদযাপন করেন সূর্যকুমার-গিলরা।
এমএইচএম