ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এলিমিনেটরে সাকিব আল হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংও বাঁচাতে পারেনি অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসকে। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে ফ্যালকনস। আন্দ্রিস গোউস ৬১ ও আমির জাঙ্গু ৫৫ রানে দলকে ভালো শুরু এনে দেন। তবে শেষ দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। উসমান তারিক এক ওভারেই দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন, আর সুনিল নারিন তুলে নেন ইমাদ ওয়াসিমকে—এর ফলে সিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে ওঠেন তিনি।
শেষদিকে মাত্র ৯ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান, যেখানে ছিল টানা তিন চার ও একটি ছক্কা। কিন্তু তার এই ক্যামিও ইনিংস দলকে বড় স্কোর এনে দিতে পারেনি। সৌরভ নেত্রাভালকার ২৩ রানে ৩টি ও তারিক নেন ১৯ রানে ২ উইকেট।
১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে কলিন মুনরো আউট হলেও বাকি সময় ছিল ত্রিনবাগোর নিয়ন্ত্রণে। অ্যালেক্স হেলস (৫৪*) ও নিকোলাস পুরান (৯০*) অপরাজিত থেকে দলকে সহজ জয় এনে দেন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৪৩ রানের জুটিতে ১৭.৩ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে নাইট রাইডার্স। কর্নওয়েল ১টি উইকেট নিলেও বাকি বোলাররা ছিলেন ব্যর্থ। সাকিব ৩ ওভারে দেন ২৪ রান, থাকেন উইকেটশূন্য।
এই জয়ে কোয়ালিফায়ার-২ এ জায়গা করে নিয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স, আর সিপিএল ২০২৫ থেকে বিদায় নিতে হলো অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
ফ্যালকনস: ১৬৬/৮ (গোউস ৬১, জাঙ্গু ৫৫; নেত্রাভালকার ৩/২৩, তারিক ২/১৯)
নাইট রাইডার্স: ১৬৮/১, ১৭.৩ ওভারে (পুরান ৯০*, হেলস ৫৪*; কর্নওয়েল ১/৫০)
এমএইচএম