ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

আফগানিস্তানকে উড়িয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় আয়ারল্যান্ডের

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
আফগানিস্তানকে উড়িয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় আয়ারল্যান্ডের সংগৃহীত ছবি

৫ বছর, ১০ মাস এবং ২০ দিন পর! ২০১৮ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও এতদিন জয়ের মুখ দেখেনি আয়ারল্যান্ড। অবশেষে তাদের সেই আক্ষেপ ঘুচলো।

আইরিশরা হারালো ২০১৮ সালে তাদের সঙ্গেই টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আফগানিস্তানকে। ঐতিহাসিক এই জয়ে রেকর্ড বইয়েও জায়গা করে নিয়েছে আয়ারল্যান্ড।  

আবুধাবীতে সিরিজের একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে আইরিশরা। লাল বলের ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেতে ৮ ম্যাচ খেলতে হলো তাদের। এর আগে নিজেদের অভিষেক টেস্টেই পাকিস্তানকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল তারা। আবুধাবী টেস্টে টস হেরে আগে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল আয়ারল্যান্ড। মার্ক অ্যাডায়ারের প্রথম ফাইফারে ভর করে আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানেই গুঁটিয়ে দেয় তারা। এর জবাবে পল স্টার্লিং (৫২), লরকান টাকার (৪৬) এর ব্যাটে ১০৮ রানের লিড পায় আইরিশরা। হাশমতুল্লাহ শহীদি (৫৫) ও রুহমানুল্লাহ গুরবাজের (৪৬) ব্যাটিং ঝলকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৮ রান করে ১১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় আফগানরা। যা ৪ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলে আয়ারল্যান্ড।

আয়ারল্যান্ড আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। ফলে অধিকাংশ সময় এক টেস্টের সিরিজ খেলতে হয় তাদের। শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই একবার দুই টেস্টের সিরিজ খেলেছে তারা। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার প্রায় এক বছর পর প্রথম টেস্ট খেলতে নামে আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে তারা আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ১টি করে ম্যাচ খেলে হারে। ২০২৩ সালে ৪টি টেস্ট খেলে তারা পরাজিত হয় যথাক্রমে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।  

আয়াল্যান্ডকে প্রথম জয় পেতে অনেক চাপ সামলাতে হয়েছে। ১১১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নড়বড়ে শুরু পেয়েছিল তারা। ৮ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। ৫ রান যোগ হতেই তারা হারিয়ে বসে আরও এক উইকেট। তবে বিপর্যয়ের মুহূর্তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি। তার ফিফটিতে জয় নিশ্চিত হয় আয়ারল্যান্ডের।  

এই জয়ে অনেক বড় বড় টেস্ট খেলুড়ে দলকে পেছনে ফেলে দিয়েছে আয়ারলন্যান্ড। টেস্ট অভিষেকের পর প্রথম জয়ের দেখা পেতে তাদের চেয়ে বেশি সময় লেগেছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের। প্রথম জয় পেতে নিউজিল্যান্ডের লেগেছে ৪৫ ম্যাচ। বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে ৩৫ ম্যাচ। ভারতকে অপেক্ষায় থাকতে হয় ২৫তম ম্যাচ পর্যন্ত। তাদের চেয়ে কম ম্যাচ খেলতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা (১৪), দক্ষিণ আফ্রিকা (১২), জিম্বাবুয়েকে (১১)।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৪
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।