ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

বিপিএল নিয়ে এত উৎসাহ-উদ্দীপনা আগে কখনো দেখিনি: পাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
বিপিএল নিয়ে এত উৎসাহ-উদ্দীপনা আগে কখনো দেখিনি: পাপন

সিলেট থেকে: টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সমালোচনা ঘিরে ধরেছিল চারপাশ। ডিআরএস না থাকা, সাকিব আল হাসানের সমালোচনাসহ নানা প্রশ্নই উঠেছিল।

তবে মাঠের ক্রিকেট শুরু হওয়ার পর কিছুটা হলেও কমেছে সেসব। সিলেট পর্বে দেখা মিলছে স্টেডিয়াম-ভর্তি মানুষেরও।  

টিকিটের জন্য হাহাকার চারপাশে। দর্শকরাও আগ্রহ নিয়ে আসছেন খেলা দেখতে। সোমবার সিলেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন করতে আসেন বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বিপিএল নিয়ে এরকম আগ্রহ আগে দেখেননি তিনি।  

সিলেট ও চট্টগ্রামে বিপিএলের আরও বেশি ম্যাচ দেওয়া যায় কি না জানতে চাইলে পাপন বলেন, ‘দেওয়া যাবে না কেন? অবশ্যই দেওয়া যায়। সমস্যাটা হচ্ছে কী আগে যতগুলো খেলা দেখেছি ঘরোয়া, বিপিএলসহ, এরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা আগে কখনো দেখিনি, এমনকি সিলেটেও। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের দর্শকরা মাঠে আসে কেন- তারা কয়েকটা কারণে আসে, একটা তো হচ্ছে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট হতে হবে। এক তরফা দুইটা বা তিনটা দল খুবই শক্তিশালী, বাকিগুলো অনেক দুর্বল, এরকম হলে কিন্তু খেলা দেখে মজা নেই। ’

‘আমাদের সবসময় ইচ্ছে আরও দেওয়ার... আমাদের সূচি এত টাইট। আপনারা দেখেন না, এখানে তো দুটা-চারটা দিন বের করার কোনো সুযোগ নেই। একটা ভেন্যু বাড়ালেই দুইদিন করে আসা-যাওয়া; চারদিন লাগবে। আরও একটা বাড়ালে আট দিন লাগবে। সামনের বছর আমাদের বিপিএলের স্লটই আমরা এখন খুঁজে পাচ্ছি না, স্লট বের করাই অসম্ভব হয়ে গেছে। একটা পেয়েছি কিন্তু মাঝে গ্যাপ দিতে হতে পারে, যদি নির্বাচন হয়। তখন আমরা নিরাপত্তা পাব কোথায়? সব তো নির্বাচনে থাকতে হবে। যখন আমরা সিদ্ধান্ত নিই, এটার পেছনে অবশ্যই একটা কারণ আছে। ’

এসময় ঢাকার একটি ম্যাচের ‍উদাহরণ টেনে পাপন বলেন, ‘আপনাদের একটা উদাহরণ বলতে পারি, অবশ্যই সিলেটের মতো ওরকম দর্শক না। কিন্তু নিঃসন্দেহে বলতে পারি ঢাকায় বরিশাল ও সিলেটের শেষ ম্যাচ ছিল দুপুর বেলায় ওয়ার্কিং ডেতে। আমার জীবনে আমি বিপিএলে লিগ পর্বের খেলায় ঢাকায় এরকম দর্শক দেখিনি। প্রায় পুরো স্টেডিয়াম। ’

ভেন্যু বাড়ানোর প্রশ্নে পাপন টানেন বিপিএলকেও। তিনি বলেন, ‘এবারের বিপিএলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে...অনেকগুলো দল, পাঁচটা অত্যন্ত শক্তিশালী দল। এর মধ্যে চারটা খুব ভালো খেলছে। চারটা শক্তিশালী, আরেকটা এত মনে হয়নি, কিন্তু খেলা দেখে মনে হচ্ছে অন্যতম সেরা। ওটা অন্য কথা। আপনি যদি কাগজে-কলমে দেখেন, যে সমস্ত দলগুলো চোখে পড়ার মতো, মনে হয়েছে খুবই শক্ত। অবশ্যই কুমিল্লা কোনো সন্দেহ ছাড়াই নম্বর ওয়ান। অন্যদিকে সিলেট এখন অবধি টপে আছে। ’ 

‘আমি যেটা বলতে চেয়েছি কুমিল্লা আছে, সিলেট, রংপুর, বরিশাল খুব শক্ত দল। এমনকি খুলনা আসলে কিন্তু অনেক শক্তিশালী দল, যদি দল হিসেবে দেখেন। ওরা খুব ক্লোজ ম্যাচ হেরে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে ক্রিকেটের আশ্চর্য। কেউ বলতে পারে না কেন হেরে যাচ্ছে। কিন্তু ‍ওদের অনেকগুলো ম্যাচ ছিল সহজে জেতা উচিত ছিল। ’ 

‘তার চেয়ে বড় কথা, এখানে যখন বিপিএল শুরু হয় টেবিল টপার হিসেবে সিলেটে এখানে আসে। ওদের খেলা দেখার জন্য কি মানুষ আসবে না? এটা কী বলেন? একে তো নামি-দামি খেলোয়াড় আছে আমাদের দেশের। আমাদের দেশের কিছু ক্রিকেটার আছে, তাদের দেখতেও প্রচুর দর্শকও আসে। শুধু খেলা না...ওদের বিরাট ভক্ত আছে, ওদের জন্য প্রচুর মানুষ আছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ 
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।