ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

সরকারের কর্মসংস্থান কর্মসূচির মজুরি বিতরণ করবে নগদ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
সরকারের কর্মসংস্থান কর্মসূচির মজুরি বিতরণ করবে নগদ

ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)’ প্রকল্পের আওতায় দেড় লাখ শ্রমিকের দৈনিক মজুরি বিতরণ করবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ।  

সম্প্রতি এ লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, নগদ লিমিটেড ও বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক ও নগদের চিফ বিজনেস অফিসার শেখ আমিনুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।  

এ সময় নগদের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তানভীর চৌধুরীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

দেশের তিনটি বিভাগের ১৮টি জেলার ১১৪টি উপজেলায় ১ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি পৌঁছে যাবে শ্রমিকের নগদ অ্যাকাউন্টে। প্রতি শ্রমিকের জন্য দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা হিসেবে বিতরণ করা হবে। ২০২২-২০২৩ সালে দুই পর্যায়ে ৮০ দিনের মজুরি এসব কর্মক্ষম বেকার শ্রমিকরা তাদের নগদ অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। এ মজুরির অর্থের সঙ্গে ক্যাশ আউট চার্জ দিয়ে দেওয়া হবে। ফলে উপকারভোগীরা এ টাকা বাড়ির কাছের নগদ উদ্যোক্তার কাছ থেকে কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন।  

‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালনা করে থাকে। এটি সরকারের অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কার্যক্রম। এ কর্মসূচির ভেতর দিয়ে অসহায় ও কাজ করতে সক্ষম এমন জনগোষ্ঠীকে আর্থিক নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়। এছাড়া গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার, রাস্তা, ড্রেন, বাজার পরিষ্কার ইত্যাদি কাজে ভূমিকা রাখে।

এ চুক্তি সাক্ষর উপলক্ষে নগদের চিফ বিজনেস অফিসার শেখ আমিনুর রহমান বলেন, নগদ শুরু থেকেই সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে আমরা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য আপসহীন। নগদ সব ধরনের ভাতা বিতরণে দক্ষতা অর্জন করেছে। ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে।

‘নগদ’ এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তির শতভাগ বিতরণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার ৭৫ শতাংশই ‘নগদ’ বিতরণ করে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, বেদে জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ভাতা, হিজড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ভাতা, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ভাতা, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভাতা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভাতা, কারিগরি শিক্ষা বিভাগ ভাতা, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাতা, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতাধীন উপবৃত্তি ‘নগদ’-এর মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সামাজিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে কোভিড-১৯-এ ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্যকে সরকারি প্রণোদনার টাকা সফলতার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে নগদের মাধ্যমে। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত আর্থিক সহায়তার প্রায় ১৭ লাখ ও পর্যায়ক্রমে আরও ১৪ লাখ পরিবারকে ভাতা বিতরণ করেছে নগদ। এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম ও ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে যথাক্রমে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন ও ২০০০ জন দুস্থ নারীদের মধ্যে ‘নগদ’ সুনামের সঙ্গে ভাতা দেওয়া কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।