ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

ওয়ালটন পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করবে ইপিবি

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
ওয়ালটন পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করবে ইপিবি

ঢাকা: রপ্তানিমুখী ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশ। বাংলাদেশে নিজস্ব কারখানায় তৈরি ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে পণ্য রপ্তানিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

উচ্চমানের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সাফল্য ও সম্ভাবনা স্বচক্ষে দেখতে ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) একটি প্রতিনিধিদল।  

শনিবার (২১ মে) ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম. আহসান নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করে।

ইপিবি প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান, সচিব ইফতিখার আহমেদ চৌধুরী, ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজালাল ও কুমকুম সুলতানা, ডেপুটি ডিরেক্টর রাখী আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মুনিরা শারমিন ও নজিবুর রহমান এবং স্টাফ অফিসার মইনুল ইসলাম।

সকালে হেডকোয়ার্টার কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট অ্যাডওয়ার্ড কিম, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মগ ইয়াং, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক তাপস কুমার মজুমদার, আনিসুর রহমান মল্লিক ও ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান বলেন, ওয়ালটনের কারখানার কথা অনেক শুনেছি। জানতাম এটা অনেক বড়, কিন্তু এত বড় তা জানতাম না। আজকে এখানে এসে ওয়ালটন সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরও পাকাপোক্ত হলো।

তিনি বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের বাজারে শীর্ষস্থানে আছে। এখন তাদের লক্ষ্য বিশ্ববাজার। এক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন বাংলাদেশের ব্র্যান্ড, বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে তুলে ধরা। অর্থাৎ বৈশ্বিক বাজারে আমাদের দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। দরকার আন্তর্জাতিক মেলাগুলোতে বেশি করে অংশ নেওয়া। এক্ষেত্রে ওয়ালটনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইপিবি প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

ইপিবির মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ইলেকট্রনিক্স খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি শুরু হয়েছে ওয়ালটনকে দিয়ে। অন্যরা তাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করছে। এখাতে আমাদের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশে ওয়ালটনের মার্কেট শেয়ার ৭০ শতাংশেরও বেশি। এখন ওয়ালটনের দরকার বৈশ্বিক বাজারে উপস্থিতি বাড়ানো। বিদেশে তাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো। ওয়ালটন ঠিক সেই কাজটাই করছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ওয়ালটনসহ এখাতের সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।

এর আগে হেডকোয়ার্টার প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ওয়ালটনের ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ উদ্যোগে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম এবং নানান পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে তারা ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যান।

পর্যায়ক্রমে অতিথিরা ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, পিসিবি, মোল্ড অ্যান্ড ডাইসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।