বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামছুল আলম গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার মৃত্যুতে শুক্রবার (১৮ জুলাই) ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনীক ও বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার জানান।
এর আগে ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিনিধি দল।
গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দা এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে গর্ববোধ করে বলেন, তার মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমাদের গ্রামের জন্য অনেক সম্মানের ছিল। এরকম সম্মানের সঙ্গে একজন মানুষের বিদায় এ গ্রামের মানুষ আর জীবনে দেখবে না।
গভীর শোক, বিনম্র শ্রদ্ধা এবং হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানোর পর দেপাশাই কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ১০টায় মরহুমের জানাজা হয়। জানাজা শেষে দেপাশাই কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি বেশ কিছুদিন ধরে কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএইমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার উন্নতি হলে সেখানে আরও কিছুদিন চিকিৎসার পর বাসা থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামছুল আলম ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি ভারতে টানা ১৯ দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে দেশমাতৃকার সেবায় নিজের জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারালো।
জানাজায় মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পক্ষ থেকে তার রোহের মাগফিরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়।
জেএইচ