ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

বিশ্বসেরা ঘড়ির ব্র্যান্ড এখানেই

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
বিশ্বসেরা ঘড়ির ব্র্যান্ড এখানেই

ঢাকা: এখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। আর প্রতিটি স্মার্টফোনেই রয়েছে ঘড়ি।

একটা সময় সবাই ভেবেছিল এ স্মার্টফোন হয়তো ঘড়ির প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। এর কারণ হলো ঘড়ি এখন শুধু সময় দেখার জন্য ব্যবহার হয় না। এ যুগে ঘড়ি হচ্ছে ফ্যাশন ও ব্যক্তিত্বের অন্যতম নিদর্শন। হাতে একটি ভালো মানের ও ব্র্যান্ডের ঘড়ি আপনার ফ্যাশন সচেতনতা ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। আর তাই ফ্যাশনের উপকরণ হিসেবে ঘড়ির জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা মূল্যমানের ১৮ লাখ ৯৮ হাজার পিস ঘড়ি আমদানি করা হয়েছিল। ২০২২ সালে প্রায় ১০ লাখ ঘড়ি বেড়ে আমদানির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮ লাখ ২৩ হাজার পিস ঘড়ি। যার মূল্য প্রায় ১১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ খুব সহজেই বোঝা যায় যে শুধু প্রয়োজন নয়, ব্যক্তিত্ব ও ফ্যাশনের সঙ্গে পাল্লা দিতেই দিন দিন বাংলাদেশে বাড়ছে ঘড়ির ব্যবহার। আর তাই আমাদের ঘড়ি কেনার আগে আসল ঘড়ি চেনাটা খুব জরুরি।  

বিশ্বখ্যাত ঘড়ি ব্র্যান্ড ও ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্ববাজারেও দিন দিন নামিদামি ব্র্যান্ডের ঘড়ির চাহিদা বাড়ছে। আর এ চাহিদা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে ‘ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস’ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে। ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস হলো ব্র্যান্ডটি সম্পর্কে তার সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে ব্র্যান্ডের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা। যাতে একজন গ্রাহক সেই ব্র্যান্ডের আসল ঘড়িটা চিনতে পারে এবং কিনতে পারে। আর সেই লক্ষ্যেই বিশ্বের সেরা ঘড়ি ব্র্যান্ডগুলো প্রতিনিয়ত তাদের ‘ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস’ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে।  

সারা বিশ্বে সুইস ব্র্যান্ডের ঘড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ সুইস ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Patek Philippe, Rolex, Panerai, Bell & Ross, Rado Tissot, Longines, Mido, Certina, Swatch ও Balmain।  

বিশ্বজুড়ে জাপানিজ ব্র্যান্ডের ঘড়িরও একটি বড় বাজার রয়েছে। অভিজাত জাপানিজ ব্র্যান্ডের ঘড়িগুলোর মধ্যে Seiko Citizen, Casio, Kikuchi Nakagawa, Lorus, Naoya Hida, Orient ও Q&Q ব্র্যান্ডের ঘড়ি অন্যতম।  

বর্তমানে সময়ের বিবর্তনে ঘড়ি হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের অন্যতম মাধ্যম। তাইতো ফ্যাশনেবল ব্র্যান্ডগুলো তরুণ প্রজন্মের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফ্যাশনেবল ঘড়ির ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে Boss, Tommy Hilfiger, Calvin Klien, Guess, Michael Kors, Marc Jacobs, Romanson, Obaku, Festina, Olypia Star, Fiyta ও Rossini।  

এছাড়া বিলাসবহুল এক্সিকিউটিভ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে Titan, Credence, Cellox, Montrex, Cainrhill, Alba, ও Timex।  

অভিজাত এ ব্র্যান্ডগুলোর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো তাদের ‘রুট’ ঠিক রেখে বর্তমান প্রজন্মের কাছে নিজেদের আরও আকর্ষণীয় করে তোলা ও ঘড়ির বাজারকে প্রসারিত করা। সেই লক্ষ্যেই ব্র্যান্ডগুলো বিভিন্ন বিপণন কৌশল, বিজ্ঞাপন, সেলিব্রিটি এন্ডোর্সমেন্ট, কৌশলগত পার্টনারশিপ এবং অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজেদের ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস বাড়াচ্ছে। এছাড়া স্বতন্ত্র লোগো ও আকর্ষণীয় প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ব্র্যান্ডগুলো একটি আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে। বিলাসবহুল এ ব্র্যান্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে উচ্চমানের পণ্য তৈরি করে এবং ব্যতিক্রমী গ্রাহক সেবা দিয়ে বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের মধ্যে আলাদা একটা ইমেজ তৈরি করেছে। যার ফলে ব্র্যান্ডগুলো অন্য ঘড়ি ব্র্যান্ডগুলো থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে এবং নিজ নিজ টার্গেট গ্রুপকে খুব সহজেই আকর্ষণ করতে পারে।  

আসল ঘড়ির আস্তানা: TIME ZONE-এ ৩৩টি অভিজাত ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যায়। TIME ZONE-এ ঘড়ির সুইস ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে Rado Tissot, Longines, Mido, Certina, Swatch ও Balmain। ঘড়ির জাপানিজ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে- Seiko Citizen, Casio ও Q&Q। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে Boss, Tommy Hilfiger, Calvin Klien, Romanson ও Obaku, Festina, Olypia Star, Fiyta ও Rossini। আর এক্সিকিউটিভ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে- Titan, Credence, Cellox, Montrex, Cainrhill, Alba ও Timex। এ বিশ্ব বিখ্যাত, অভিজাত ও বিলাসবহুল ঘড়ির ব্র্যান্ডগুলোর নিজস্ব কোনো শো-রুম বাংলাদেশে নেই। সেক্ষেত্রে অভিজাত ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ঘড়িগুলো পাওয়ার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের নাম হলো- TIME ZONE। কারণ TIME ZONE হচ্ছে বিশ্বখ্যাত ঘড়ি ব্র্যান্ডগুলোর বাংলাদেশের একমাত্র পরিবেশক। এখানে ব্র্যান্ডের আসল ঘড়িগুলোই পাওয়া যায়। কারণ TIME ZONE একদম কোম্পানি থেকে সরাসরি ঘড়ি আমদানি করে থাকে। এছাড়া প্রতিটি ঘড়ি আমদানির ক্ষেত্রে বৈধ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় এবং প্রতিটি ঘড়ি ডিউটি ট্যাক্স, ভ্যাট ও এআইটি পরিশোধ করেই বাংলাদেশে আনা হয়। যার কারণে সারা বাংলাদেশে ঘড়িগুলোর মূল্য তালিকা একই রকম থাকে। এছাড়া TIME ZONE-এর শো-রুমগুলো প্রথম শ্রেণির শপিংমল, শহরের অন্যতম স্থান এবং দেশের পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে থাকায় মানুষের বিশ্বাস অর্জনে বেশ বড় ভূমিকা পালন করছে। এভাবেই অভিজাত স্থানে অবস্থানের কারণে খুব সহজেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়। আর TIME ZONE-এর সব শো-রুমগুলোতে ঘড়ির ব্র্যান্ডগুলো আন্তর্জাতিকমান অনুসারে সাজানো হয়। তাই সব ধরনের ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। TIME ZONE-এর রয়েছে দক্ষ বিক্রয়কর্মী, প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান ও নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার। তাই যেকোনো প্রয়োজনে TIME ZONE-এর গ্রাহকরা পায় সর্বোচ্চ সেবা। এত সব কারণেই কোনো ঘড়ি ব্র্যান্ড না হয়েও TIME ZONE বাংলাদেশে বিশ্বখ্যাত ঘড়ির ব্র্যান্ডগুলোর ব্র্যান্ড হাউস হিসেবে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছে।  

নকল হতে সাবধান: বাংলাদেশে লাগেজ পার্টি, অবৈধ পথ বা অন্য কোনো মাধ্যমে অনেক ঘড়িই আসে। কিন্তু সেসব ঘড়ি ক্রয় করার পর পাওয়া যায় না বিক্রয় পরবর্তী কোনো সেবা। এছাড়া বিদেশ থেকে অবৈধ পথে আসা এসব ঘড়ি নকলও হতে পারে। তাই আসল ঘড়ি কিনতে হলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং যেকোনো ব্র্যান্ড অনুমোদিত শো-রুম থেকেই ক্রয় করতে হবে।  

শুধু ঘড়িই নয়: TIME ZONE-এ শুধু অভিজাত ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ঘড়িই পাওয়া যায় না, এখানে বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের কলমও পাওয়া যায়। TIME ZONE-এ কলমের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে Cross, Sheaffer, Waterman ও Parker ব্র্যান্ডের কলম।  

তাই দেশজুড়ে বিলাসবহুল ঘড়ি ও অভিজাত কলমের ব্র্যান্ড হাউস হিসেবে TIME ZONE এখন এক আস্থা ও ভরসার নাম। আর এভাবেই TIME ZONE কোনো ব্র্যান্ড না হয়েও একটি ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং প্রতিনিয়ত ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস বাড়ানোর মাধ্যমে দেশে ঘড়ি ও কলমের বাজারকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।