ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্ভোগ চরমে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্ভোগ চরমে বন্যাকবলিত এলাকা। ছবি: বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার  অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বানভাসিরা।

রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, করতোয়া ও তিস্তার পানি ধীরগতিতে কমছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বিতীয় দফা বন্যায় গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি এসব মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। তারা গবাদি পশু, হাস-মুরগি নিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।  

তাদের মধ্যে শুকনো খাবার, গবাদি পশুর খাদ্য সংকট, জ্বালানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও বিশুদ্ধ খাবার পানির চরম অভাব দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ওই এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, ভেসে গেছে শত-শত পুকুরের মাছ।

এদিকে, পানি কমতে শুরু করায় বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নে গত চারদিনে বাজে চিথুলিয়া ও চিথুলিয়া গ্রাম দুটির শতাধিক পরিবার  নদী ভাঙনে গৃহহারা  হয়েছেন।  

এছাড়া সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর, হরিপুর ও কাপাসিয়ার পোড়ার চর এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়ায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।  

গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে জানান, জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ১ লাখ ৩১ হাজার ৩২০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দ্বিতীয় দফায় এ পর্যন্ত ২১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশুখাদ্য চার লাখ টাকার, গোখাদ্য দুই লাখ টাকার ও ৩ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বাংলানিউজকে জানান, বন্যা দুর্গত এলাকায় ৬১টি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। আমাদের কাছে পর্যান্ত চিকিৎসা সামগ্রী ওওষুধ মজুদ রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।