ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়বে তাপমাত্রা, পরে ঝড়-শিলাবৃষ্টি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়বে তাপমাত্রা, পরে ঝড়-শিলাবৃষ্টি

ঢাকা: কয়েক দফা শৈত্যপ্রবাহ ও হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘ সময় শীতের অনুভূতি বেড়ে যাওয়ার অবসান শেষে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা বাড়বে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে চলমান শৈত্যপ্রবাহ মাঝে বিরতি দিয়ে আরো কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত কমিটির সভাপতি ও আবহওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে একটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।


 
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে দেশের কোথাও কোথাও ১-২ দিন শিলাবৃষ্টি ও বিজলি চমকানোসহ বজ্রঝড় হতে পারে বলেও জানিয়ে আধিদপ্তর।
 
রাজশাহী, পাবনা, শ্রীমঙ্গল অঞ্চল ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
 
আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম।
 
তিনি জানান, ৮-৯ জানুয়ারি দেশের নিম্নাঞ্চলে অর্থাৎ খুলনা ও বরিশালে বৃষ্টি হতে পারে। সে সময় শীত একটু অনুভূত হবে বেশি। আর ১১-১২ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে ১৫ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা বাড়বে।
 
সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুঁলিয়ায় সর্বনিম্ন ৬.৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। রংপুরে ৯, রাজশাহীতে ১০, ময়মনসিয়েহে ১১.২, বরিশালে ১১.৫, সিলেটে ১২.১, ঢাকায় ১৩.৭, খুলনায় ১৪.৩, চট্টগ্রামে ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
 
আবহাওয়া অফিস জানায়, জানুয়ারিতে স্বাভাবিকের চেয়ে ২২০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে রংপুর বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম ও ময়মনসিংহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
 
পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালি বায়ুপ্রবাহের সংযোগ ঘটায় ২-৫ জানুয়ারি খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়াও ৮, ৯, ১৯, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
 
আর উপমহাদেমীয় উচ্চচাপ বলয়ের কারণে ৭, ৮, ১২-১৬, ২১-২৮ জানুয়ারি রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং যশোর, কুষ্টিয়া, শ্রীমঙ্গল ও রাঙামাটি অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
 
জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ৭ জানুয়ারি তেতুঁলিয়া ও ২৩ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে। এ মাসে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম এবং ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
 
মার্চের পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১-২ দিন মাঝারি/তীব্র কালবৈশাখী/বজ্রঝড় ও দেশের অন্যত্র ২-৩ দিন হালকা/মাঝারি কালবৈশাখি/বজ্রঝড় হতে পারে।
 
মার্চ মাসে দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে প্রায় স্বাভাবিক (৩৪-৩৬) সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চালে তাপমাত্রা হতে পারে ৩৭-৩৮ সেলসিয়াস পর্যন্ত।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।