ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কুয়াশা, দুর্ভোগ জনজীবনে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কুয়াশা, দুর্ভোগ জনজীবনে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারিদিক। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর উত্তরীয় হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা কিছুতেই কমছে না। একইসঙ্গে দিনের বেলা ঘন কুয়াশায় সূর্যের লুকোচুরি খেলায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজরাহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হিমালয় পাদদেশীয় এই অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বিরাজ করায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমেছে, বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষ।

কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদিপশুপাখির।

প্রথম দফায় মৃদু শৈতপ্রবাহে কুড়িগ্রাম জেলার সহস্রাধিক খামারে শীতের তীব্রতায় প্রায় দেড় শতাধিক মুরগির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে খামারিরা। অপরদিকে তীব্র শীতে আলুক্ষেত ও বোরো বীজতলায় লেট ব্লাইট রোগের প্রার্দুভাবের শংকায় চাষিরা।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার বাংলানিউজকে জানান, জেলায় প্রায় এক হাজার ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। কুয়াশা ও তীব্র শীত থেকে রেহাই পেতে খামারিদের মুরগি রাখার স্থানে চারদিকে পর্দা দিয়ে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শাহিনুর রহমান সরদার বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। এরমধ্যে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১০ শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন ভর্তি হয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে ২৩ জনই শিশু।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।   দুই/তিনদিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন বাংলানিউজকে জানান, শীতার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৫৯ হাজার ১৪ পিস কম্বল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত নয়টি উপজেলায় শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় ৫৬ হাজার ৫১৪ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।