ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

পছন্দের গাছ কিনতে মেলায় বৃক্ষপ্রেমীরা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
পছন্দের গাছ কিনতে মেলায় বৃক্ষপ্রেমীরা  বৃক্ষমেলায় মিলছে নানা প্রজাতির গাছ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: যারা প্রকৃতি কিংবা বৃক্ষপ্রেমী, তাদের জন্য নানা সুখবর নিয়ে বুধবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) মাঠে শুরু হয়েছে পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা ২০১৮। হরেক রকমের প্রজাতির গাছের সমাহার রয়েছে এই মেলায়।

‘সবুজে বাঁচি, সবুজ বাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন।  

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দ্বিতীয়দিনের মেলাতেই জমজমাট আনাগোনা শুরু হয়েছে বৃক্ষপ্রেমীদের।

মাসব্যাপী মেলাটি চলবে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত।

বন সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মেলায় সারাদেশ থেকে আগত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সর্বমোট ৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সর্বমোট স্টলের সংখ্যা ১০১। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৩ টি, বন অধিদপ্তরের ৮টি, নন-নার্সারি ৯টি এবং ব্যক্তি মালিকানা এবং বেসরকারি সংস্থার ৭৭ টি স্টল রয়েছে।

স্টলগুলোতে টবে বা আকর্ষণীয় করে সাজানো নানা গাছের চারা ছাড়াও মাঠজুড়ে রয়েছে বাহারি ফলজ-বনজ চারা। যার মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানা অপরিচিত গাছ-পালাও।  

মেলায় আগতদের অনেককে-ই উন্নত জাতের চারা কিনতে দেখা গেছে। আবার অনেকে আসছেন তার আবাসস্থলের প্রিয় বারান্দা বা ছাদটিকে সবুজায়নের জন্য গাছ নিতে।  

মিরপুর-১১ নম্বর থেকে মেলায় এসেছেন প্রিয়া বৈষ্ণব। বারান্দাকে সবুজ করতে গাছ নেবেন তিনি। বাংলানিউজকে প্রিয়া বলেন, আমি একজন গৃহিণী। আমি আমার পরিবারকে সবসময় সুস্থ দেখতে চাই। এজন্য আমার বারান্দাটা সবুজ করে রাখতে চাই।  

‘যাতে এই দূষণের নগরী ঢাকায় অন্তত সবাই বাসায় ফিরে পিওর অক্সিজেনটা পায়। সেজন্য মেলা থেকে কয়েকটি গাছ নিতে চাই। ’

মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঝুড়ি ভর্তি বিভিন্ন জাতের চারা কিনেছেন রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিপন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে জেনেই আমার বাবা সকালে আমাকে একটা লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছেন গাছ কেনার জন্য। এগুলো আমাদের গাজীপুরের বাড়িতে লাগানো হবে।

‘বাবার কথা এই মেলায় যে গাছ পাওয়া যাবে তা অন্য নার্সারিতে সচরাচর পাওয়া যায় না। কেননা এই মেলায় অংশগ্রহণ করে সারা দেশ থেকে আগত গাছ ব্যবসায়ী ও চাষি। তবে বাবা যে দামের লিস্ট দিয়েছিলেন তার সঙ্গে মেলায় দামের কোনো মিল নেই। এখানে দাম অনেকটা বেশি। ’  

ময়মনসিংহ থেকে আসা ঝুমা নার্সারির সত্ত্বাধিকারী রাইসুল জানান, ময়মনসিংহ থেকে গাছ নিয়ে আসতে রাস্তায় খরচ অনেক বেশি। তাই দাম বাড়ছে। এখানে থাকতে ও খেতেও খরচ বেশি। এসব কারণেই দামটা একটু অতিরিক্ত।  

দাম বেশি হলেও ভালো মানের গাছ পাওয়া যাছে এমন স্বীকারক্তি পাওয়া গেছে প্রায় প্রত্যেকটি ক্রেতার কাছ থেকে।

মেলার বিষয়ে বন সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী বন সংরক্ষক খন্দকার মো. জাকারিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রথমদিনে মেলায় প্রায় ১০ লাখ টাকার বেশি গাছ বিক্রি হয়েছে। আজও হচ্ছে। ক্রেতারা আসছেন। সামনের দিনগুলোতে তা আরো বাড়বে বলেই আশা করছি।  

বাংলাদেশ সময়:২২০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এমএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad