ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দলবেঁধে চলে রুপালি ‘কাজুলি’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
দলবেঁধে চলে রুপালি ‘কাজুলি’ নদী ও সংযুক্ত খালের মাছ ‘কাজুলি’। ছবি: সুলতান মাহমুদ

মৌলভীবাজার: বাংলাদেশের নদী ও নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালে দলবেঁধে ঘুরে বেড়ায় গাঙ্গেয় কাজুলি। পানিতে এদের তিড়িংবিড়িং লাফানোর দৃশ্যটি ভালো লাগেও, চ্যাপ্টা আকৃতির মাছগুলো জালে ধরে পানির উপরে তোলার অল্পক্ষণের মধ্যেই স্থির হয়ে প্রাণ হারায়। 

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন), বাংলাদেশ (২০০০) এর ‘লাল তালিকা’ অনুযায়ী এই কাজুলি প্রজাতির মাছটি বাংলাদেশে এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়, তবে এরা প্রায় বিপদগ্রস্ত।  

কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, এই কাজুলি মাছের অপর একটি নাম হলো বাঁশপাতা।

এর ইংরেজি নাম Gangetic ailia এবং বৈজ্ঞানিক নাম Ailia coila (Hamilton)। এরা স্বাদুপানির মাছ।  

এর শারীরিক বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ মাছটির দেহ লম্বা এবং দুইপাশ থেকে বেশ চাপা। আন্তঃঅক্ষিকোটর চোখের ১ দশমিক ৭ থেকে ২ গুণ। মুখ কিছুটা অবনত। মুখের হা চোখের সামনে অর্ধপথ পর্যন্ত পৌঁছে। বার্বেল চারজোড়া, সুগঠিত। দাঁত ভিলিফর্ম, মুখের চোয়ালে সরু সারিতে সাজানো। তন্তুময় পৃষ্ঠপাখনা অনুপস্থিত। ’ 

‘এদের দেহ রূপালি রঙের। পায়ু ও পুচ্ছপাখনার গোঁড়া হলদে। মেদ পৃষ্ঠীয় পাখনা ছোট, পায়ু পাখনার শেষ-ষষ্ঠাংশের সমান্তলার অবস্থান থেকে উৎপত্তি হয়। বক্ষপাখনার স্পাইন সরু, ভেতরের দিকের কিনারা মসৃণভাবে খাঁজানো। শ্রোণি পাখনা ছোট। পায়ু পাখনায় পাখনা-রশ্মি ৫৮-৭১টি। পুচ্ছপাখনা দ্বি-বিভক্ত ও নিচের অংশ দীর্ঘতর’।  

এর প্রাপ্তি সম্পর্কে মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের নদী ও সংযুক্ত খালে এদের পাওয়া যায়। মাছটি ঝাঁকে চলে। বর্ষা মৌসুমে অগভীর জলে এরা প্রজনন করে। মাছটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩০ সেন্টিমিটার হলেও সচরাচর ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও এটি ভারত, পাকিস্তানে পাওয়া যায়।    

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
বিবিবি/এনএইচটি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।