ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিলের ‘মধু পাবদা’ এখন  শ্রীমঙ্গলের বাজারে

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
বিলের ‘মধু পাবদা’ এখন  শ্রীমঙ্গলের বাজারে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের সুস্বাদু মধু পাবদা। ছবি: বাংলানিউজ   

মৌলভীবাজার: বিপন্ন প্রজাতির মাছ ‘মধু পাবদা’ এখন শ্রীমঙ্গলের বাজারে। প্রাকৃতিক উন্মুক্ত জলাশয়ে বেড়ে ওঠা এ মাছটি অত্যন্ত সুস্বাদু। যার ইংরেজি নাম Pabdah Catfish এবং বৈজ্ঞানিক নাম Ompok pabda।

তবে প্রাকৃতিক জলাভূমি হাইল হাওরে বেড়ে ওঠা এই মধু পাবদার পাশাপাশি মাছের খামারে চাষ করা পাবদাও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।  

মধু পাবদা মিঠাপানির মধ্যস্তরের সর্বভুক মাছ।

এটি আমাদের দেশের পুকুর, হাওর-বিল, নদী-নালা প্রকৃতি জলাভূমি পাওয়া যায়। এর উচ্চতা ১৭ সেন্টিমিটার।

মৎস্য বিক্রেতা মনছুর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিলের প্রাকৃতিক মধু পাবদাগুলো খেতে সবচেয়ে সুস্বাদু। তবে দামও তুলনামূলক বেশি। এগুলো আমরা হাইল হাওর থেকে এসেছি। কেজিপ্রতি এগুলোর দাম ছয়শ থেকে আটশ টাকা। তবে আকার বড় হলে এর দাম কেজিপ্রতি এক হাজার থেকে বারোশ টাকা হয়। বাজারে মাছটির চাহিদা অনেক বেশি।

তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগত খামারে চাষ করা পাবদার দাম কিছুটা কম। কেজিপ্রতি তিনশ টাকা থেকে পাঁচশ টাকা।  

মাছের পার্থক্য তুলে ধরে মনছুর মিয়া বলেন, প্রাকৃতিক বিলের পাবদগুলোর দেহে সোনালি রঙের সঙ্গে একটু হালকা কালো রঙের ছাপ থাকে। কিন্তু খামারের পাবদাগুলো ধবধবে সোনালি রঙের হয়।  

মৌলভীবাজার জেলার মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, গতবছর বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হওয়ার কারণে মাছের প্রজননে অনেকগুণ বেশি সাফল্য এসেছে। মা মাছগুলো যথাসময়ে ডিম ছাড়ার কারণে আমাদের প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলোতে এখন বিপন্ন মাছগুলো পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সভা-সেমিনার, প্রশিক্ষক-কর্মশালার মাধ্যমে মৎস্য চাষিসহ আগ্রহীদের বিপন্ন প্রজাতির মাছের ব্যাপারে নানান ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এভাবে আমাদের বিভিন্ন বাস্তবমুখী কার্যক্রমের সুফলগুলো এখন দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, মধু পাবদার মতো বিপন্ন মাছগুলো সাধারণ মানুষ আজ কিনে খেতে পারছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।