ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ধ্বংসের সর্বোচ্চ হুমকিতে সুন্দরবন: সুলতানা কামাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
ধ্বংসের সর্বোচ্চ হুমকিতে সুন্দরবন: সুলতানা কামাল অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল (ফাইল ফটো)

ঢাকা: সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, দেশের ঐতিহ্য ও জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন এখন ধ্বংসের সর্বোচ্চ হুমকির সম্মুখীন।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘সুন্দরবন ও রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা ও করণীয়’ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সুলতানা কামাল বলেন, সুন্দরবনের চ্যানেলে পোল্ডার (উদ্ধারকৃত নিম্নভূমি রক্ষায় বাঁধ) স্থাপন ও আবাদী জমিতে লবণাক্ত পানি আটকে রেখে চিংড়ি চাষ, কৃত্রিম ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা, পশু শিকার এবং গাছকাটার কারণে আমাদের জাতীয় এ সম্পদ এখন ধ্বংসের সর্বোচ্চ হুমকির সম্মুখীন।

আরও বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে সাম্প্রতিক পশুর নদের পাড় ভাঙন।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) বৈশ্বিক সমন্বয়কারী ও অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির কোর গ্রুপ সদস্য শরীফ জামিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ ও বাপা’র সহ-সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের সব কাজ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। এ দাবিগুলো হলো- সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি কর্তৃক সরকারের কাছে জমাকৃত ১৩টি গবেষণা প্রতিবেদন ও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের ভিত্তিতে বন রক্ষায় সার্বিক পদক্ষেপ নিতে হবে; ১৩টি গবেষণাপত্র বিষয়ে সরকারের কোনো বিজ্ঞানসম্মত দ্বিমত থাকলে তিন সপ্তাহের মধ্যে তা প্রকাশ এবং সে বিষয়ে সরকার ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির কাছে গ্রহণযোগ্য দিন ও সময়ে উন্মুক্ত আলোচনার জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে; সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী বা অভ্যন্তরের নির্মাণাধীন ও পরিকল্পিত ৩২০টি প্রকল্প ও স্থাপনা অপসারণ, নির্মাণাধীন প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ, বরাদ্দকৃত সকল প্লট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; সুন্দরবনের ওপর অন্যান্য সব অনিয়ম-অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং বন বিভাগের জনবল বৃদ্ধি ও তাদের কাজের পরিধি, একাগ্রতা, সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।