ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

উপকূল থেকে উপকূল

সবজির জনপদ সুবর্ণচর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
সবজির জনপদ সুবর্ণচর সুবর্ণচরে সবজি চাষ/ছবি: সোলায়মান হাজারী ডালিম

সুবর্ণচর ( নোয়াখালী) থেকে ফিরে: ১৯৫৯ সাল। রৌদ্রজ্জ্বল এক সকালে এলাকার মানুষ হঠাৎ আবিষ্কার করে মেঘনার বুকে একখণ্ড ভূমি। এর পরের গল্প-অথৈ জলের মাঝে জেগে ওঠা মাটির বুকে মানুষের বসতি স্থাপন। চরটি হয়ে ওঠে দক্ষিণাঞ্চলের সহায় সম্বলহীন দরিদ্র মানুষগুলো নতুন অবলম্বন।

অগণিত ভাগ্যান্বেষী মানুষ আস্তে আস্তে বসত গড়ে নতুন নোনা পানির এ সাম্রাজ্যে। স্বল্প বাসনার চরটিকে ঘিরে নিজেদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে ভাগ্যাহতরা, স্বপ্ন দখে নতুন জীবন ও জীবিকার।

এ স্বপ্নই প্রকৃতির নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার প্রেরণা জোগায়। তবে প্রকৃতি মানুষগুলোকে ঠকায়নি। ঢেলে দিয়েছে দুহাত ভরে। এখানের ফসলে ভাগ্য ফিরছে অসহায় মানুষগুলোর। ধীরে ধীরে এ জনপদের পরিচয় হয়ে ওঠে বৃহত্তর নোয়াখালীর শস্য ভাণ্ডার হিসেবে।
 
সুবর্ণচর নোয়াখালী জেলার একটি উপজেলা। বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের ২ এপ্রিল ২০০৫ তারিখের প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ উপজেলার গোড়াপত্তন হয়।

বিগত এক যুগে জনপদটির বেশ উন্নতি হয়েছে। পরিচিতি লাভ করেছে সবজির জনপদ হিসেবে। এখানকার সবজি যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

সুবর্ণচরে সবজি চাষ
জলাশয়ে মাছ ও হাঁস চাষ। আর তার পাড়েই আবাদ করা হয়েছে শসার। এ পদ্ধতিতে জলাশয়ের জলে বেশ ভালো ফলন হয়। বছরান্তে ফেরে কৃষকের ভাগ্যও।

সুবর্ণচরে সবজি চাষ
মাচা থেকে ফলন সংগ্রহ করছেন সুবর্ণচরের ঢালচর এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলাম। চিচিংগাবাড়ির আঙিনায় গৃহিণীর সবজি ক্ষেতে ধরেছে চিচিংগা।

সুবর্ণচরে সবজি চাষ
রাস্তার পাশেই বাম্পার ফলন হয়েছে বরবটি-সিমের। এর জন্য করতে হয়নি বাড়তি কোনো খরচ, গাছ বড় হয়ে ওঠার সময় বাঁশের কঞ্চি পুতে দেওয়া হয়েছিল- সে কঞ্চি বেয়েই হয়েছে ফলন।

লাউমাচায় ঝুলে আছে লাউ। বাড়ির পাশের বা পতিত জমিতে বীজ পুতে দিলেই হয়- গাছ বড় হয়ে ওঠার পর বাঁশের মাচা দিয়ে দিলে ফলন পাওয়া যায় বছরের প্রায় ৮ মাস। শসাস্থানীয় সৈয়দপুর বাজারে বিক্রি করতে নেওয়া হয়েছে শসা। পাইকাররা সেখান থেকে কিনে নিয়ে তা নিয়ে যাবেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

সুবর্ণচরে সবজি চাষ
সুবর্ণ চরে জলাশয়ের পাড়ে পড়ন্ত বিকেল। যেন রূপের মাধুরী মেশানো প্রকৃতির দানে সমৃদ্ধ জনপদ এটি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা মে ১৩, ২০১৬
এসএইচডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।