ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

চিতা ও কুকুরে দোস্তিয়ানা!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
চিতা ও কুকুরে দোস্তিয়ানা!

বন্দুত্ব আর প্রেম জাতপাত, উঁচু-নিচু, কালা-ধলা, ধনী-নির্ধন বা ধর্মাধর্মের ভেদাভেদ মানে না। যদি তা হয় অকৃত্রিম, স্বার্থহীন আর মতলবহীন।

বন্ধুত্ব বন্ধুত্বই। মানুষে মানুষে স্বার্থহীন বন্ধুত্বের আর ত্যাগের কতো না নজির ছড়িয়ে আছে দুনিয়াজুড়ে। মানুষের চেয়ে প্রাণিরা আরো বেশি স্বার্থহীন আর অকপট। একবার প্রীতিডোরে জড়ালে সেই প্রীতিবোধ দিনকে দিন কেবল বেড়েই চলে। কমে না কখনো। মানুষের বেলায় স্বার্থে আঘাত লাগলে বন্ধুত্ব ফিকে হয়ে যায় বা ভেঙেও যায়। ইতর প্রাণিরা স্বার্থের নিক্তি মেপে চলে না। তাদের কাছে অনুভূতি আর আবেগই আসল।

তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো পরস্পর বিপরীতধর্মী প্রাণিরাও যখর বন্ধুত্বে জড়ায়। তৃণভোজীর সঙ্গে মাংসাশী প্রাণির বন্ধুত্ব কি হয়? বা কুকুরের  সাথে শেয়ালের বা চিতার সাথে কুকুরের, হরিণের সাথে সিংহের? হ্যাঁ, অবাক করার মতো ব্যাপার হলেও এমনটাও ঘটে। ঘটে তখনই বিপরীত স্বভাবের প্রাণিরাও যখন কোনো কারণে একে অপরকে পছন্দ করে বসে। এমনটাই ঘটেঠে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের মেট্রো রিচমন্ড চিড়িয়াখানায় এক কুকুর আর চিতাশাবকের মধ্যে গড়ে উঠেছে দোস্তি। যাকে বলে মাণিকজোড়। চিতাশাবকটির নাম কুম্বালি আর কুকুরটির নাম কাগো্। চিতার বাচ্চাটি মায়ের দুধ পাচ্ছিল না ।

পরে বোতলের দুধ খাইয়ে ওকে বাঁচানো হয়। এসময় চিড়িয়াখানার লোকজন ওর জন্য একটা বন্ধু ও খেলার সাথী খুজেঁ বেড়াচ্ছিলেন। পরে কুকুরছানাটিকেই সাব্যস্ত করা হলো। তারা অবশ্য এতোটা আশাবাদীও ছিলেন না। কারণ চিতা আর কুকুর একে অপরের জানি-দুষমন। কিন্তু না, এক সঙ্গে থাকার সুবাদে ওরা একে অপরের পরম বন্ধু হ’য়ে ওঠে। আর এখন তো দুজনে দিনরাত একসাথে চলাফেরা খেলাধুলা সবই করে। ওদের সবচেয়ে প্রিয় খেলা হচ্ছে একে অন্যকে তাড়া করা। আর হ্যাঁ, ওদের প্রথম দেখা হয়েছিল গত গ্রীষ্মে। সেই থেকে ওদের দোস্তিয়ানা কেবল বেড়েই চলেছে। ভিডিওটা দেখুন। মন ভালো হয়ে যাবে।


বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।