শ্রীমঙ্গল: চোখেই তার সৌন্দর্যের বর্ণছটা। তাকালেই ধরা পড়ে তার চোখের বৃত্তাকার সৌন্দর্য।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পাখিগুলোকে প্রথম একত্রে দেখে এদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই। চটপটে স্বভাবের বলে দেখা দিয়ে হঠাৎই উধাও হয়ে যায়! দলগত অবস্থান করে এ ডাল থেকে ও ডালে চলে লাফিয়ে। ছোট পোকা, মাকড়সা, রসালো ফল, ফুলের মধুর খোঁজে তাদের সারাদিন ব্যয়।
পাখিটির দৈর্ঘ্য দশ সেমি। ওজন নয় গ্রাম। এরা আমাদের দেশের সুলভ আবাসিক পাখি। প্রায় সব জায়গাতেই এদের উপস্থিতি রয়েছে। এপ্রিল-সেপ্টেম্বর এদের প্রজনন মৌসুম। ঘাস, শেওলা, মাকড়াসার জাল, চুল দিয়ে ছোট ভাঙা বাটির মতো বাসা তৈরি করে। ডিম পাড়ে ফিকে নীল রঙের ২ থেকে ৪টি।
পাখি পর্যবেক্ষক ও পাখি গবেষক ইনাম আল হক এই পাখি সম্পর্কে বলেন, পাখিটির অসাধারণ দু’টি চোখ একবার দেখলে কেউ ভুলতে পারবেন না। তবুও এ পাখি অনেকেরই চোখে পড়েনি কোনোদিন। ঢাকার অধিকাংশ নাগরিকের কাছে এই অনন্য নয়ন পাখিটি একেবারেই অচেনা।
তিনি আরও বলেন, আকারে চড়ুইয়ের চেয়ে ছোট। পাতার ফাঁকে ফাঁকে ছোটাছুটি করে পোকামাকড় খোঁজে। সারাক্ষণ মৃদুকণ্ঠে সিফিফি, সিফিফি... বলতে থাকে। পোকা শিকারের কাজ শেষ হলে পাতার আড়ালে বসে একটু বিশ্রাম নেয়। তারপর সদলবলে উড়ে চলে যায় অন্য গাছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪