হাতির জন্মনিয়ন্ত্রণ এখন মানুষের হাতে! প্রাকৃতিক বংশবৃদ্ধির বিপরীতে চলবে এই কার্যক্রম। তাতে নিয়ন্ত্রিত হবে বন্যপ্রাণির স্বাভাবিক জন্মপদ্ধতি।
কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়েছে এ সিদ্ধান্তটি।
কৃত্রিম উপায়ে হাতির প্রজনন ব্যবস্থা এখন নিয়ন্ত্রিত হবে। ভারতের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনের তুলনায় হাতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বন কর্তৃপক্ষ হরমোন ইনজেকশন দিয়ে হাতির প্রজনন নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে তা এখনই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
উত্তরবঙ্গের তিনটি জাতীয় উদ্যানসহ এগারোটি অভয়ারণ্যে এখন হাতির সংখ্যা ছয় শত ত্রিশটির কিছু বেশি। কিন্তু ঠিকানা সঙ্কুচিত হয়ে আসায় নতুন করে বনাঞ্চলের প্রসার না ঘটিয়ে উল্টে হাতির সংখ্যা কমানোর কথা গত কয়েক মাস ধরেই ভাবছিল রাজ্য বন দফতর।
‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডে’র (ডব্লুডব্লুএফ) পরামর্শে সেই জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রশ্নেই ফের এক বার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল বন বিভাগ। দিন কয়েক আগে
সে ব্যাপারে সাড়া মিলেছে। তবে এখনই সরাসরি হাতিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সাড়া দেয় নি তারা।
দীর্ঘদিন থেকেই বেড়ে চলা হাতির উপদ্রব দমন নিয়ে ভারতে চলছে অনুসন্ধান। কিন্তু অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও তা কর্যকর হয়নি। জন্ম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কতটা সফল হবে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষা চালানো দরকার বলে মতামত জানিয়েছে স্থানীয় পরিবেশবিদরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৪