ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

আলতাদীঘি শালবন থেকে অজগর সরিয়ে নেওয়ার দাবি

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪
আলতাদীঘি শালবন থেকে অজগর সরিয়ে নেওয়ার দাবি ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাট জাতীয় উদ্যান আলতাদীঘি শালবনে অবমুক্ত করা অজগরসহ হিংস্র প্রাণি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।  

রোববার বেলা ১১টা থেকে ধামইহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।



মানববন্ধনে নেতৃত্বদেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ধামইরহাট শাখার সহসভাপতি দেবলাল টুডু।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা, যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেন পাহান, উপদেষ্টা মোশারফ হোসেন চৌধুরী, বাসদের নওগাঁ জেলা সমন্বয়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল প্রম‍ুখ।

বক্তারা বলেন, আলতাদীঘি শালবন ও এর আশেপাশের প্রায় ১০টি গ্রামে আদিবাসী, হিন্দু, মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বসবাস। শুধু আলতাদীঘি শালবনের পাশে বাস করে প্রায় ৩ থেকে ৪শ ভূমিহীন পরিবার।

এসব মানুষের কোনো ক্ষতি হয় কিনা সে বিষয়ে খেয়াল না রেখেই বন বিভাগ গত বছর বনে দুটি অজগর সাপ অবমুক্ত করে। কিন্তু উন্মুক্ত বনে হিংস্র প্রাণিগুলো ছাড়ার পর থেকেই আশপাশের বাসিন্দারা ভীষণ আতংকে রয়েছেন।

চলতি বছর জুলাই মাসে একটি অজগরের শেয়াল ধরে প্রকাশ্যে গিলে খাবার দৃশ্য দেখে তারা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে।   এছাড়া বনে খাবার না পেয়ে একটি অজগর সাপ পাশের মঙ্গলকোঠা গ্রামের একটি বাড়িতে গভীর রাতে হানা দেয়। প্রায়ই ওই হিংস্র প্রাণিগুলো খাবারের সন্ধানে বসতবাড়ির আশেপাশে হানা দিচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, একন মানুষ ভয়ে বনের পথ দিয়ে চলতে পরছে না। অজগর আতংকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। অজগরগুলো বনের অন্যান্য ছোট প্রাণির পাশাপাশি আমাদের গৃহপালিত প্রাণি ও হাঁস-মুরগি শিকার করছে। জীব-বৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের পরিবর্তে ধ্বংস হচ্ছে এখানকার জীব-বৈচিত্র্য।

প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি হিংস্র প্রাণির হাত থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।