ঢাকা: মানুষের মতো প্রতিটি প্রাণীর আচরণেই রয়েছে ভিন্নতা। স্থলচর, জলচর ও উভচর প্রতিটি প্রাণীর বৈশিষ্ট্যও আলাদা।
সম্প্রতি বিস্ময়কর এক তথ্য দিচ্ছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, কচ্ছপরা ছয়টি ভিন্ন শব্দে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। কচ্ছপের এসব আওয়াজ রেকর্ডিংও করেছেন ব্রাজিলের একদল গবেষক।
রেকর্ড থেকে জানা যায়, বাসা বানানোর মৌসুমে কচ্ছপরা ছয়টি ভিন্ন আওয়াজ করে তাদের ভাব আদান-প্রদান করে।
মূলত স্ত্রী ও সদ্য ডিম ফুটে বেরিয়ে আসা কচ্ছপগুলো এসব শব্দ করে থাকে।
গবেষকরা বলছেন, বাচ্চাকে শব্দ দূষণ সম্পর্কে সচেতন করতে মা কচ্ছপরা এরকম শব্দ করে বেশি।
নিউইয়র্কের ওয়াইল্ডলাইফ কনসারভেশন সোসাইটি (ডব্লিউসিএস) ও ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যামাজনিয়ান রিসার্সের গবেষকরা ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আমাজনে গবেষণা করেছেন। তারা মাইক্রোফোন ও পানির নিচের হাইড্রোফোনের সাহায্যে ২৫০ প্রজাতির প্রাণীর শব্দ রেকর্ড করেন।
ডব্লিউসিএস-এর ব্রাজিল শাখার ড. ক্যামিলা ফেরেরা জানান, শব্দগুলোর অর্থ আমরা বুঝতে পারিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ভাবের আদান-প্রদানের জন্য প্রাণীগুলো এসব শব্দ ব্যবহার করছে।
গবেষকরা জানান, বিভিন্ন সময় কচ্ছপরা বিভিন্ন রকম শব্দ করে। পানিতে বড় কোনো প্রাণী দেখতে পেলে একরকম শব্দ করে আবার যখন অনেকে একত্র হয় তখন অন্যরকম আওয়াজ করে। ডিম থেকে বাচ্চা বের হওয়ার সময়ও বিশেষ ধরনের শব্দ করে কচ্ছপরা।
ড. ফেরেরা ধারণা করছেন, পানির নিচে বাচ্চাগুলো নিয়ন্ত্রণে স্ত্রী কচ্ছপরা বিভিন্ন রকম আওয়াজ করে। আর বাচ্চা কচ্ছপ বয়োবৃদ্ধদের কাছ থেকেই এসব আওয়াজ আয়ত্ত করে নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৪