ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

আলতাদীঘির অজগরটি রাজশাহীতে যাবে দুপুরে

শফিক ছোটন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪
আলতাদীঘির অজগরটি রাজশাহীতে যাবে দুপুরে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মঙ্গলকোঠা গ্রামে আটক অজগরটি স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে আবারও বনে ছেড়ে দিতে না পরায় বুধবার সেটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজশাহীতে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেমায়েত উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে খাঁচা বন্দি ওই সাপটি এখনও ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তার কার্যালয়েই রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, বুধবার দুপুরের মধ্যেই রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে এটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।



সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজগরটি শালবন সংলগ্ন মঙ্গলকোঠা গ্রামের বাসিন্দা আরাফাতের বাড়িতে চলে আসে। সেখান থেকে গ্রামবাসী ২৫ কেজি ওজনের ওই সাপটিকে আটক করে।  

অজগরটি আটকের পর বাংলানিউজসহ বেশকয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্রকাশ হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সবার নজরে আসে। স্থানীয় জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।

এর আগেও কয়েকবার আদিবাসীদের বসতবাড়িতে ওই বনের অজগরসহ হিংস প্রাণী হামলা চালিয়েছে। সাপের নিরাপত্তা এবং মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত চিঠি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত রায়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কাছেও পাঠানো হয়েছে।



এদিকে বসতবাড়িতে অজগর সাপের হামলার পর জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী যুবপরিষদ ও বাসদসহ কয়েকটি সংগঠন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

তারা বলেন, হিংসপ্রাণী বন থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে বৃহৎ আন্দোলন করা হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় আদিবাসী যুব পরিষদের উপদেষ্টা মোশারফ হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, খাদ্যের অভাবে হিংস সাপ বসতবাড়িতে হানা দেওয়ার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বনের আশপাশ থেকে আদিবাসীদে উচ্ছেদ করার উদ্দেশে এ সাপ ছাড়া হয়েছে। তারা দরিদ্র হওয়ায় ওই বন থেকে বিভিন্ন খাবার সংগ্রহ করে। তা যাতে না করতে পারে এজন্য এসব হিংস প্রাণী ছাড়া হয়েছে।

ধামইরহাট আলতাদীঘি শালবনে দায়িত্বরত প্রাণী সংরক্ষণ সেবক আহমিদ হোসেন বলেন, ধরার সময় অজগরটি খুবই ক্ষুধার্ত ছিলো। তাই দুপুরে তাকে দু’টি মুরগী খেতে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়নি।
 
এদিকে, অজগরটি আটকের পর ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার সকাল থেকে  সাপটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ বনবিট কর্মকতার কার্যালয়ে ভিড় করছে।

** ধামইরহাট শালবনে অবমুক্ত অজগর নিয়ে আতংক
** অজগর দু’টি সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
** খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে সেই অজগর

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।