ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

সমুদ্র কমিশন গঠনের সুপারিশ পবা’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৪
সমুদ্র কমিশন গঠনের সুপারিশ পবা’র ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের সম্ভবনাময় সমুদ্র সম্পদ তদারকি, রক্ষা ও উন্নয়নে সরকারি নীতি প্রণয়নের জন্য জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমুদ্র কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ।

মঙ্গলবার দুপুরে পবা’র নিজ কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনায় করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা এ সুপারিশসহ সরকারের কাছে ১৫টি সুপারিশ তুলে ধরেন।



পবা নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, সাগরে জরিপ, গবেষণা, অনুসন্ধান, উত্তোলন, পরিকল্পিত ব্যবহার এবং পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী রূপরেখা প্রণয়ন করতে এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নেওয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, মায়ানমার ও ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির ফলে বাংলাদেশ বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চলের সম্পদের উপর একচ্ছত্র অধিকার পেয়েছে। যা এদেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে সমুদ্র সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম করেছে।

প্রস্তাবনা ও সুপারিশে বলা হয়, বঙ্গোপসাগর অববাহিকায় ৪০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ বসবাস করে। তাদের খাদ্য, জীবিকা ও নিরাপত্তা উপকূলীয় ও সামুদ্রিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। বঙ্গোপসাগর ইকোসিস্টেমকে যেসব বিষয় প্রভাবিত করে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আন্তঃসীমানা বিষয়, মৎস্য সম্পদের মাত্রাতিরিক্ত আহরণ, গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থলের অবনতি, দূষণ ও পানির মান রক্ষা করা।

এগুলো নিশ্চিত করা গেলে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ বাংলাদেশের বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ বাণিজ্য সমুদ্র পথে। বঙ্গোপসাগর অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র অঞ্চল ও এর পরিবেশ রক্ষা এবং সম্পদের টেকসই আহরণের জন্য বহুমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমুদ্র কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।

কমিশন গঠন করা হলে, বিভিন্ন ধরনের মাছ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, সমুদ্রের লোনা পানি থেকে লবণ উৎপাদন ছাড়াও আমাদের সমুদ্র সৈকতে প্রাপ্ত খনিজ সম্পদ অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপশি রপ্তানি খাতে নতুন সম্ভাবনা উম্মোচিত হতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ, সৈয়দ আফরোজ আশরাফ, ইফমা হুসাইন, সদস্য মো: সেলিম, মডার্ন ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত প্রমুখ।

বাংলাদেশ সম: ১৪১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad