শ্রীমঙ্গল: চা বাগানের বুকজুড়ে ঘন সবুজের আহ্বান। মিশে যেতে মন চায় যেন সে সবুজ বিছনায়।
যে দিকে চোখ যায়, কেবল সবুজেরই হাতছানি। বর্ষায় সবুজের রূপ যেন আরো বেশি উজ্জ্বল, বিকশিত। গাছ ও পাতার শরীর ছুঁয়ে বৃষ্টির যে জলধারা মাটি স্পর্শ করে তার আহ্বানেই যেন এই চির সুন্দরের অভিবন্দনা। বর্ষার পরশ পেয়ে দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি’র দল মাথা উঁচু করে পৃথিবীর দিকে তাকায়। বৃষ্টিস্নাত এই নবজলধারাই তার শরীরে প্রাকৃতিক জলজ স্পর্শ। এর ফলেই চা গাছের সারি এখানে বেঁচে আছে শত শত বছর ধরে। মাঝে মাঝে এখানে লুকোচুরি খেলাও চলে – বৃষ্টি ও রোদের মুখোমুখিতে।
বর্ষণের মুহূর্তে গাড়ির ভেতর থেকে চা বাগানের প্রকৃতিকে উপভোগ করার স্বাদ একেবারেই আলাদা। এ যেন তখন ছোট্ট একটা ক্ষণিকের পৃথিবী! ক্ষণিকের একটা ছোট্ট সংসার! তার ভেতর আপনি! উপলব্ধি করছেন বসে বৃষ্টির গান! শান্ত কিংবা দ্রুতবেগের হিমেল হাওয়া! ওদিকে পৃথিবীর আর সব কিছুর সাথেই তখন ক্ষণিকের জন্য আপনার যোগাযোগ ছিন্ন। মনের কেন্দ্রবিন্দুতে তখন বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ। কানের দরজা দিয়ে সে শব্দ পৌঁছেছে হৃদয়ে। ভালোলাগার এ যেন অন্য এক রূপ!
যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন। ভালোবাসেন চা বাগান, বন, টিলা আর পাহাড়ি ছড়া। তাদের জন্যই শ্রীমঙ্গল এখন অপেক্ষারত। নানান রকম সৌন্দর্য নিয়ে শ্রীমঙ্গল এখন নিজেকে মেলে ধরে আছে। এই বর্ষাতেই চলে আসুন এমন সবুজে ভিজতে, লুটোপুটি খেতে, প্রাণভরা নিশ্বাস নিতে। প্রকৃতিই আমাদের সবচেয়ে বড় অবলম্বন। কর্মজীবনের প্রচণ্ড ব্যস্ততা, মানসিক চাপ প্রভৃতিতে আমরা ক্রমশই হাঁপিয়ে উঠি। প্রকৃতির কাছে আসলেই প্রাকৃতিক সচেতজতা হৃদয়কে স্পর্শ করে বড় আশ্চর্যজনকভাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৪