ঢাকা: বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্কসহ অন্যান্য জুনোটিক (পশু হতে সংক্রমিত) রোগের জন্য বিষাক্ত ওষুধ ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন পশু-চিকিৎসায় ব্যবহার করাই শকুন মৃত্যুর প্রধান কারণ।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আইইউসিএন বাংলাদেশের আয়োজনে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর ‘আসন্ন শকুন বিলুপ্তির প্রভাব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে রাজ ও সরুছুঁটি এ দুই প্রজাতির স্থায়ীভাবে বসবাসকারী শকুন সম্প্রতি বিলুপ্ত হয়েছে। সবশেষে বাংলা-শকুনও বিলুপ্তের পথে।
শকুন বিলুপ্তির ফলে বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্কসহ অন্যান্য জুনোটিক (পশু হতে সংক্রমিত) রোগ ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে চলেছে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।
তারা বলেন, বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশের পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ হলেও কিটোপ্রোফেন এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি।
গোলটেবিল বৈঠকে আইইউসিএন’র বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশতিয়াক উদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমএ মান্নান।
এছাড়া আলোচক হিসিবে ক্রিস বাউডেন, ইনাম আল হক, ড. মনিরুল খান, ড. তপন দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪