ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

লাউয়াছড়ায় ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি ও হারপেটোফনা রিসার্চ কর্মশালা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৪
লাউয়াছড়ায় ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি ও হারপেটোফনা রিসার্চ কর্মশালা

ঢাকা: শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনে অনুষ্ঠিত হলো দু’দিনব্যাপী ‘ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি অ্যান্ড হারপেটোফনা রিসার্চ’ শীর্ষক কর্মশালা।

বাংলাদেশ পাইথন প্রজেক্টের আয়োজনে বুধ ও বৃস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় অংশ নেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন 'গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির সদস্য।  



কর্মশালাটি মূলত তিনটি সেশনে ভাগ করা হয়। বুধবার প্রথম সেশন হয়, ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি বা বন্যপ্রাণি বিষয়ক আলোকচিত্রের উপর।

এই সেশনে আমেরিকার বন্যপ্রাণি গবেষক ও আলোকচিত্রী স্কট ট্রেগসার ও অ্যাশ উইস্কোভিচ গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির সদস্যদের বন্যপ্রাণির ছবি তোলার ক্ষেত্রে কী ধরনের নিয়ম ও সতর্কতা মেনে চলতে হয় তা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এরপর শিক্ষার্থীদের লাউয়াছড়ার গহীন বনে নিয়ে স্কট ট্রেগসারের তত্ত্বাবধানে হাতে কলমে বন্যপ্রাণির ছবি তোলার কলাকৌশল দেখিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও এসময় শিক্ষার্থীদের সাপ ধরার বিভিন্ন কৌশল দেখানো হয়।

বিকেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত ৮ জন বন্যপ্রাণি গবেষক ও আলোকচিত্রীদের মধ্যে মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়।



‘কারিনাম’ নামক একটি সংস্থা ও বাংলাদেশ বন বিভাগের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ পাইথন প্রজেক্ট’ ২০১১ সাল থেকে লাউয়াছড়ার সরীসৃপ প্রাণীর উপর গবেষণা করছে। গত বছর তিনটি অজগর ও এ বছরের ১৩ জুন তিনটি কচ্ছপে ট্রান্সমিটার বসিয়ে এসব প্রাণিদের উপর গবেষণা কার্যক্রম চলছে।

এই গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে আমেরিকা থেকে পাঁচজন বন্যপ্রাণি গবেষক, একজন পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে দু’জন বন্যপ্রাণি গবেষক আসেন। মতবিনিময় সভায় বন্যপ্রাণি গবেষকরা তাদের অভিজ্ঞতা গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে প্রকৃতি সংরক্ষণের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।



মতবিনিময় সভা শেষে আয়োজন করা হয় 'অজগর ও কচ্ছপ গবেষণা' শীর্ষক কর্মশালার। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন 'বাংলাদেশ পাইথন প্রজেক্ট'র প্রধান গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান। এ সময় তিনি গবেষণা কাজের বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এরপরে ১৮ জুন রাত ও ১৯ জুন সকালে শিক্ষার্থীদের লাউয়াছড়া বনের বিভিন্ন অংশে অবস্থারত ট্রান্সমিটার বসানো অজগর ও কচ্ছপে কীভাবে রেডিও ট্রাকিং করা হয় সেটা দেখানো হয়।



এ কর্মশালার ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ পাইথন প্রজেক্ট’ প্রজেক্টের প্রধান গবেষক শাহরিয়ার সিজার বলেন, মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা এবং তাদের মাধ্যমে অন্যদের মাঝে সাপ-কচ্ছপ রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।

কর্মশালার অন্যতম ট্রেইনার স্কট ট্রেগসার বলেন, আমি অনেক আনন্দিত যে বাংলাদেশের কিছু তরুণ শিক্ষার্থীদের নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।