শ্রীমঙ্গল: বয়স তখন মাত্র পাঁচ দিন। মায়ের গভীর সান্নিধ্য আর পরম মমতা পাওয়া হয়নি তার।
এ বছরের ২২ এপ্রিল কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা বাগানের এক শ্রমিকদের কাছ থেকে হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করে লাউয়াছড়ার বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। তারপর থেকেই গভীর যত্ন-আত্তি।
খাঁচায় আটকানো এই ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটিকে দেখে খুব কষ্ট হলো। যেন বেশ অস্থির হয়ে উঠেছে সে। তাকে ঘিরে রয়েছে কৌতূহলী মানুষের ডজন ডজন চোখ। এমন শিশুসুলভ চাহনির হরিণশাবককে নিজ চোখে দেখার ঘটনা আমার এই প্রথম। তাই বড় সহজেই মায়া জন্মালো।
লাউয়াছড়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ) মো. মরতুজ আলী বাংলানিউজকে বলেন, শাবকটিকে উদ্ধারের পর এক লিটার করে গাভীর দুধ খেতে দিয়েছি। এছাড়াও টমেটোসহ নানা ধরনের শাক-সবজি খাওয়ানো হয়েছে। আজ আমরা তাকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম (এফইজেবি) মৌলভীবাজার জেলা আয়োজিত আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পর বৃহস্পতিবার বিকেলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এই হরিণ শাবকটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শাবকটি অবমুক্ত করেন।
সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, তাকে ছাড়তে আমরা অনেকটাই বাধ্য হলাম এ জন্য যে, মানুষের সঙ্গে এভাবে থাকলে সে বনের পরিবেশ ভুলে যাবে। বন্যরা যে বনেই সুন্দর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৪