সিলেট: সিলেটের ওসমানীনগরে মেছো বাঘের কামড়ে নারী-শিশুসহ ১২জন আহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাঘের আক্রমণ থেকে বাঁচতে লোকজন পাহারা দিচ্ছেন লাঠিসোঁটা নিয়ে।
রোববার থানা এলাকার বিভিন্ন পাড়ায় মসজিদের মাইকে প্রতিটি এলাকার লোকজনকে বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষায় সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ওসমানীনগর থানার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকদাড়া ইছামতি গ্রামে বাড়ির আঙিনায় কাজ করার সময় মেছো বাঘের আক্রমণের শিকার হন গৃহকর্ত্রী আমিনা বেগম (৬০)। তার চিৎকারে স্বজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এলে বাঘের আক্রমণে আরও আহত হন পারভিন বেগম (২২), রিনা বেগম (৬০), দুলাল মিয়া (২৩), জুবায়ের আহমদ (৮), ফজর আলী (৩০) ও পেদনি বেগম (২৮)।
বাঘটি ইছামতি গ্রাম থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী নোয়াগাঁও গ্রামে আশ্রয় নিতে চাইলে গ্রামবাসী সেখানেও তাড়া দেন। এসময় বাঘের আক্রমণে আহত হন প্রবাসী নজরুল ইসলাম (১৮), হেনা বেগম (২৪), লাভলী বেগম (২২), আবুল কালাম(৫০) ও রইছ আলী (৫৫)।
আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাঘটি এখন থানার রাইকদাড়া নোয়াগাঁও গ্রামের একটি জঙ্গলে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মমকর্তা (ওসি) জুবের আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাঘটি হত্যা না করতে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাঘটি আটকে বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৪