ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

কপোতাক্ষ-বেতনা নদী খননে অনিয়মের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৪
কপোতাক্ষ-বেতনা নদী খননে অনিয়মের দাবি ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ ও বেতনা নদী খনন প্রকল্পে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে কাজ তদারকির জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের দাবি উঠেছে।

বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন সমন্বয় কমিটি ও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায়।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প স্কেভেটর মেশিন দিয়ে যেভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাতে মানুষের ক্ষতি ছাড়া কোনো উপকার হবে না। এ কাজকে ‘নদী মেরে খাল খনন’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কপোতাক্ষ নদ খননের নকশা অনুযায়ী নদীর তলদেশের প্রস্থ হবে স্থান বিশেষ ১০৩ ফুট থেকে ১৩০ ফুট। মাথায় প্রস্থ হবে স্থান বিশেষ ১৪৮ ফুট থেকে ২০৩ ফুট এবং গভীরতা হবে স্থান বিশেষ ১০ ফুট থেকে ১৪ ফুট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খনন করা হচ্ছে তলদেশে মাত্র ৩৩ ফুট, মাথায় মাত্র ৪৯ ফুট ও গভীরতা সাড়ে ৬ ফুট। খননকৃত মাটি ১৭০ ফুট দূরে ফেলার কথা থাকলেও মাটি ফেলে হচ্ছে নদীর মাঝখানেই। এতে নদীর প্রশস্থতা কমে গিয়ে তা সরু খালে পরিণত হচ্ছে। বর্ষায় এসব মাটি ধসে পড়ে নদী একেবারেই ভরাট হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, আমরা দাবি করেছিলাম সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও শ্রমিকদের অংশগ্রহণে সমন্বিতভাবে খনন কাজ করাতে। কিন্তু তা না করে প্রকল্প অফিস স্থাপন করা হয়েছে যশোরে। নদী খনন প্রকল্প নিয়ে সরকারকে হেয় করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন সংসদ সদস্য।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কপোতাক্ষ ও বেতনা বাঁচাও আন্দোলন সমন্বয় কমিটির নেতা আবুল কালাম আজাদ, ফাহিমুল হক কিসলু, মহিবউল্লাহ মোড়ল সাবীর হোসেন, সরদার রফিকুল ইসলাম, সুধাংশু শেখর সরকার, আনোয়ার জাহিদ তপন, হারুন উর রশিদ ও আলীনূর খান বাবুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।