ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

খুবির সিআইএসএস’র উদ্যোগে কর্মশালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৪
খুবির সিআইএসএস’র উদ্যোগে কর্মশালা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সেন্টার ফর ইন্ট্রিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস-সিআইএসএস এর উদ্যোগে স্ট্রেইনথ উইকনেস অপারচুনিটি এন্ড থ্রেট (এসডব্লিইওটি) এন্যালাইসিস অ্যান্ড ভার্চুয়াল ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট ফর দ্য সুন্দরবনস শীর্ষক কর্মশালা অননুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দিনব্যাপী নগরীর রূপসাস্থ আভা সেন্টারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, দেশে কয়েক দশক আগে গ্রাম এলাকাতেও গহীন অরণ্য ছিলো এখন আর তা নেই। জনসংখ্যার চাপে বনসম্পদসহ সব ধরণের প্রাকৃতিক সম্পদ কমে আসছে। সুন্দরবন আমাদের গর্বের বন, জাতীয় সম্পদ, বিশ্ব ঐতিহ্য। সুন্দরবন অমূল্য সম্পদ। সুন্দরবনের মতো বহুমুখী উপকার আমরা আর অন্য কোন প্রাকৃতিক সোর্স থেকে পাই না।

জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য আজ এমনিতেই হুমকির সম্মুখিন। তাই সুন্দরবন থেকে কেবল রাজস্ব আয় করলেই চলবে না বরং মনুষ্য সৃষ্ট সমস্যা থেকে সুন্দরবনের পরিবেশ যাতে ধ্বংস না হয় সেদিকে সবিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। তাই পর্যটকদের বাড়তি চাপের সম্ভবনা রয়েছে। এসব বিবেচনায় ইকোট্যুরিজমের বিষয়টি এখন সময়ের প্রয়োজন। সেদিক থেকে খুবির সিআইএসএস আয়োজিত কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিতে পারবে বলে আশা করি।

খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক কার্তিক চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জহির উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বন ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা নির্মল কুমার পাল, সুন্দরবন বিভাগীয় কর্মকর্তা বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও নেচার সংরক্ষণ জাহিদুল কবির এবং সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আমীর হোসেন চৌধুরী।

আরও বক্তব্য রাখেন খুবির প্রাক্তন উপাচার্য ও কর্মশালার মডারেটর প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুবির সিআইএসএস এর পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) এবং ফউটে ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বের সঞ্চালক ছিলেন সিআইএসএস এর সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. সালমা বেগম।

এ সেমিনারে বেশ কয়েকটি পেপার উপস্থাপন করা হয়। সেখানে সুন্দরবনের বিভিন্ন দিক বিশেষ করে ইকোট্যুরিজম ও ভার্চুয়াল ট্যুরিজমসহ নানাবিষয়ে সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় তথ্য প্রকাশ করা হয় পর্যটন থেকেই সুন্দরবনের সিংহভাগ রাজস্ব আয় হচ্ছে। কর্মশালা শেষে একটি সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে এবং তা বাস্তবায়নে বনবিভাগের কাছে পেশ করা হবে।

কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়, বনবিভাগ, সুন্দরবন বিভাগ, বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরসহ অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি এ কর্মশালায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।