ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

রাতারগুলে ওয়াচ টাওয়ারে বিরোধিতা শিকারীদের

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৪
রাতারগুলে ওয়াচ টাওয়ারে বিরোধিতা শিকারীদের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: জলাবন রাতারগুলে ‘বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য’ গড়ে তুলতে ‘ওয়াচ টাওয়ার’ ও স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ চায় না শিকারীরা। রাতারগুল বনের গাছ চোর ও বনখেকো চক্র ওয়াচ টাওয়ারের বিরোধিতা করছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।



বাংলানিউজকে রাতারগুল বন বিট কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, বন রক্ষা ও পর্যটকদের অবাধ বিচরণ ঠেকাতে এবং তাদের সুবিধার্থে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে বন শিকারীরা বনে ঢুকতে পারবে না। ওয়াচ টাওয়ার থেকে তাদের আগেই দেখা যাবে। এজন্য তারা এর বিরোধিতা করছে।

তিনি জানান, রাতারগুলের স্থানীয়দের একটি অংশ রাতারগুল বনের ওপর নির্রশীল। এরা বনের মূল্যবান গাছ প্রায়ই কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বনের জৈববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধন করছে। এমনকি গ্রামে যখন সাপ ঢুকে পড়ে তখন তারা তা পিটিয়ে মেরে ফেলে। এজন্য দিন ও রাতে আশপাশের গ্রামের একটি চক্র বনে ঢুকে গাছপালা কেটে নিয়ে যায়।

এসব রোধ করার জন্য বনবিভাগ ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করছে। প্রায় পাঁচতলা সমান উঁচু ওয়াচ টাওয়ারের নির্মাণ শেষের পথে। এর আগেই বনখেকো চক্র বিরোধিতা করে এর নির্মাণ বন্ধ রাখার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বনবিভাগ সূত্র জানায়, গত শনিবার রাতারগুল ভ্রমণ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় স্থানীয়রা চেয়েছিলো আরিফুল হকের সঙ্গে দেখা করে ওয়াচ টাওয়ারের নির্মাণ বন্ধের দাবি তুলতে। কিন্তু মেয়র আরিফুল এর আগেই ‘ওয়াচ টাওয়ার’ ও স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ পরিদর্শন করে বন বিভাগের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

আরিফুল এসময় বলেন, শিগগিরই রাতারগুলের উন্নয়ন ও বন রক্ষার জন্য গোলটেবিল বৈঠক ডাকা হবে। যেখানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের খ্যাতিমান বন্যপ্রাণী গবেষকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এরপর গবেষকদের মত নিয়েই রাতারগুল উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তাবায়ন করা হবে।

আরিফুল বলেন, বন রক্ষার জন্য ওয়াচ টাওয়ার প্রয়োজন। ওয়াচ টাওয়ার না হলে একদিকে যেমন বনখোকো চক্রের উৎপাত হবে অন্যদিকে পর্যটকরা ইচ্ছেমতো বনে ঢুকে বনের ক্ষতি করবে।

রাতারগুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এসময় পর্যটন বিকাশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় সিটি করপোরেশনের অধীনে নিয়ে এসে রাতারগুলের উন্নয়নের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

ভ্রমণকালে বনের অবস্থান ও সৌন্দর্য ঘুরিয়ে দেখান রাতারগুল বন বিট কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad