ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

দেশের সর্ববৃহৎ রাবার বাগানে কাঠচোর ও বন্যহাতির উপদ্রব

অর্পন বড়ুয়া, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪
দেশের সর্ববৃহৎ রাবার বাগানে কাঠচোর ও বন্যহাতির উপদ্রব

রামু (কক্সবাজার): কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পর্যটন শিল্পে অপার সম্ভাবনাময় দেশের সর্ববৃহৎ রাবার বাগানে বেড়ে চলেছে বন্যহাতির উপদ্রব। এছাড়া ক্রমাগত হারে বেড়ে চলছে কাঠ চুরির ঘটনা।



এতে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাতে বসেছে এ বাগান। সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ও দস্যুদের খপ্পরে পড়ে ক্রমশই সংঙ্কুচিত হয়ে আসছে বাগানের জমির পরিমাণ।
 
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৬০-৬১ সালে অনাবাদী জমি জরিপ করে গবেষণার মধ্যদিয়ে রামুতে রাবার চাষ শুরু হয়। উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন জোয়ারিয়ানালা, কাউয়ারখোপ ও গর্জনিয়াসহ তিন ইউনিয়নে বন বিভাগের ৬০০ একর জমি ইজারায় রাবার বাগানটি গড়ে তোলা হয়।

পরে এর পরিসর বেড়ে ২৬৮২.৬৮ একরে দাঁড়ায়। এরমধ্যে বিগত ৫৪ বছরে দখল হয়ে গেছে ৩০০ একরেরও অধিক জমি।
  
রামু রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে জানান, এই বাগানটি দেশের সর্ববৃহৎ  হলেও পর্যাপ্ত লোকবল, জবর দখলকারীদের উৎপাত, কাঠচোর ও বন্যহাতির উপদ্রবে এর সৌন্দর্য্য দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
 
দক্ষিণ চট্টলার শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোশতাক আহমদ বাংলানিউজকে জানান, রামু রাবার বাগানকে পর্যটন শিল্পের আওতায় এনে ঢেলে সাজানো হলে দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।
 
এদিকে, প্রতিদিন দেশ-দিদেশের অসংখ্য ভ্রমণ পিপাষু মানুষ রাবার বাগান পরিদর্শনে আসে। পাহাড় আর সমতলের অপূর্ব মিলনের দৃশ্য উপভোগ করে মুগ্ধ হন ভ্রমণপিপাসুরা।
 
যেভাবে যাবেন:
রামু উপজেলার চৌমুহনী স্টেশন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এ বাগানে রিকশা, টেক্সি বা অন্যান্য যানবাহন নিয়ে সহজেই যাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।