ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষির ওপর সবচেয়ে বেশি বিরূপ প্রভাব পড়ছে জানিয়ে এই প্রভাব মোকাবেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নারী সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘লার্নিং শেয়ারিং ডায়ালগ’ শীর্ষক খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারী প্রতিনিধিদের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনাকালে বিশেষজ্ঞরা এ আহ্বান জানান।
বেসরকারি সংস্থা সিএসআরএল, গ্রো ও অক্সফামের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. জরিনা আর খান, প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক অ্যারোমা দত্ত, ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জেরম সায়েন, পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অক্সফামের ম্যানেজার মনিশা বিশ্বাস, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মহাসিন আলী, সেকশন হেড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমিক্স জাস্টিস আজগর আলী সাবেরী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে কলকারখানা তৈরি, যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলা, নদী সংস্কার না করে নদী শোষণ করে ভরাট করা হচ্ছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ, নদী শুকিয়ে খাল হয়ে যাচ্ছে। আর খালগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রভাব পড়ছে কৃষির ওপর।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে আমাদের কী করণীয় তার অধিকাংশই আমরা জানি না। এটা যে প্রতিরোধ করা যায় তাও আমাদের ধারণার অনেকটা বাইরে।
তারা বলেন, শুধু নারী নয় সবশ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এর সমাধান করতে হবে। এজন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। শুধু আলোচনা, কমিটি গঠন করলে হবে না, কাজ করতে হবে। প্রত্যেক সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তথ্য ব্যাংক হিসেবে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া নারী ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সবক্ষেত্রে বঞ্চিত করে রাখা হয়। নানা বৈষম্যের শিকার হতে হয় আমাদের। নারী ইউপি সদস্যরা তিন ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েও একজন পুরুষ সদস্যর সমান বেতন পান। এছাড়া, পুরুষ সদস্যরা অনেক সময়ে নারী সদস্যদের সম্মানও করেন না।
বক্তারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত নারী সদস্যদের খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে অবগত করা এবং স্থানীয় সরকারকে এ বিষয়ে প্রভাবিত করার সঙ্গে সঙ্গে অধিকারভিত্তিক দাবি আদায়ে সোচ্চার করাই পাইলট প্রকল্পের লক্ষ্য।
সভার শুরুতে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর প্রোজেকশনের মাধ্যমে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন জাকিয়া হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৪