রাজশাহী: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গন্ধগোকুল (Common Palm Civet) নামের বন্যপ্রাণীটিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারী বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন সরদারের তত্বাবধানে চিকিৎসা প্রদান ও নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের শিয়ালমারা এলাকা থেকে শিবগঞ্জ সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রের সহায়তায় প্রাণীটিকে রাজশাহীতে আনা হয়।
সকালে জঙ্গল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের শিয়ালমারায় লোকালয়ে বেরিয়ে আসলে এলাকার লোকজন ধাওয়া দিয়ে গন্ধগোকুলকে ধরে পেলে। এক পর্যায়ে মানুষের হট্টগোলে প্রাণীটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুলের দৈর্ঘ্য লেজসহ ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। উচ্চতা ১ ফুট ৮ ইঞ্চি ও ওজন প্রায় ৭ কেজি।
রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্যা রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, রাজশাহীর উদ্ধারকারী দল বিরল, বিপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণীটি নিরাপদ হেফাজতে নেয়।
উদ্ধারকালে প্রাণীটি আহত থাকায় বর্তমানে সেটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারী বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন সরদারের তত্বাবধানে চিকিৎসা প্রদান ও নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই প্রাণীটি প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, নিশাচর ও স্তন্যপায়ী প্রজাতির এই প্রাণী অতীতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রায় সকল দেশে বসবাস করতো। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা, আবাসস্থলের সংকোচন ও নিধনের ফলে বর্তমানে প্রাণীটি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। এই প্রাণীটির শরীরে অতি মূল্যবান সুগন্ধি উৎপাদনের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। প্রাণীটির পেরিনিয়াল গ্রন্থি থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওই সুগন্ধি সংগৃহীত হয়। ফলে এর প্রতি শিকারীদের বিশেষ লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রাণীজ এই সুগন্ধির উচ্চমূল্য ও চাহিদা থাকায় ব্যাপকহারে পাচার ও নিধন হয় গন্ধগোকুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৪