গোদাগাড়ী (রাজশাহী): রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে মাসব্যাপী পাখি পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ (রাজশাহী) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে শনিবার সকাল থেকে মাসব্যাপী এ কার্যক্রম শুরু হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্ল্যা রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, চলতি শীত মৌসুমে পদ্মার চরে আগত অতিথি ও দেশি পাখিদের বিচরণ ও প্রজনন অবাধ এবং নিরাপদ করার জন্য এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ভবিষ্যতে এ এলাকায় একটি ‘পাখির অভয়ারণ্য’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাখি পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা পর্যবেক্ষণকালে স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময়, পাখি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব ও করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তুলে ধরেন।
প্রথমদিনে দলের সদস্যরা গাঙশালিক, পাকড়া শালিক, গোশালিক, টুনটুনি, দোয়েল, কালো ফিঙে, মাছরাঙা, চড়ই, বুলবুলি, হলদে পাখি, চিল, বাজ, শ্যামা, শামুখখোল, পানকৌড়ি, ছোট নথ জিরিয়া, নাকুটি, লাল লতিকা হট্টিটি, নাটাবটের, নীলকান্ত, সাতভায়লা, চোখগেল, চ্যাগা, মেঠো আবাবিল, তিলা মুনিয়া, ধানী তুলিকা, সাদা খঞ্জন, ডাহুক, কুহু, ঘুঘু, পাতি শিলা ফিদ্দা, দাগি ঘাসপাখি, ভোমরা ছোটন, লেঞ্জা লাটোরা, সুঁইচোরা, কানিবক, বড় বগা, পাতি বাটান, চখাচখি, সরালী, ইত্যাদি নানা প্রজাতির দেশিয় ও পরিযায়ী ৪০টি প্রজাতির পাখি পর্যবেক্ষণ করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. আমিনুজ্জামান মো. সালেহ রেজার নেতৃত্বে পাখি পর্যবেক্ষক দলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, রাজশাহীর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শরিফুজ্জামান, বীরেন্দ্র নাথ রায়, ফরেস্টার মো. মুরসালিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বার্ড ক্লাবের মো. আল আমিন (শুভ), মো. আতিকুর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
সম্পাদনা: মিলিতা বাড়ৈ, নিউজরুম এডিটর/এবি