প্রতিনিয়ত চমকের জন্ম দিচ্ছে আমাদের বিজ্ঞানবিশ্ব। পিছিয়ে নেই চিকিৎসা ও প্রাণীবিজ্ঞানের শাখাটিও।
অবাক হলেও বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্ট করেছে বিশ্বজুড়ে। এটা ইতিহাসের অংশও বটে।
সাদা বাঘ ও সিংহ দম্পতির গর্ভে জন্ম নেওয়া বিশ্বের প্রথম সাদা ‘লাইগার’ ৬ সপ্তাহ বয়সী ইয়েতি, ওডলিন, স্যাম্পসন ও অ্যাপোলো। সারা বিশ্বের ৩০০ সাদা সিংহ ও ১২০০ সাদা বাঘ আছে। এরা চারটি মদ্দা শাবক। সিংহ আর বাঘের শংকর প্রজাতি হিসেবে জন্মে তাদের চেহারাও হয়েছে স্বতন্ত্র।
এই শাবকগুলোর বাবা আইভরি (সিংহ) ও মা সরস্বতী (বাঘ) দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি পার্কে অলস সময় কাটাচ্ছে।
বিশ্বে লাইগার আছে কম-বেশি ১০০০। জন্মের পর থেকে প্রতিদিন এক পাউন্ড ওজন বাড়ছে শাবকগুলোর।
অ্যাপোলো এদের মধ্যে সবার ছোট। খুব আমোদী ও ঘরে থাকতে পছন্দ করে সে। আবদারও কম নয় তার।
ইয়েতি সবার বড়। আচরণও ভীমের মতো। সবসময় সে সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চায়।
শাবকগুলো প্রতিদিন বড় হচ্ছে। ফিরে পাচ্ছে তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।
এই শাবকগুলির চাচা হারকিউলিস বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাদা বাঘ। ওজন ৪১৮ কিলোগ্রাম। লম্বায় ১০ ফিটের সামান্য বেশি।
এই সাফারি পার্কটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ড. ভাগভন আন্টলের আশা, ইয়েতি তার চাচার রেকর্ড ভেঙে ফেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪