ঢাকা: মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ প্রায় চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনকালীন সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার সচিবালয়ে এ সরকারের আমলে গত পাঁচ বছরে মন্ত্রণালয়ের অর্জন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আগে বনাঞ্চলের পরিমাণ ছিল ৯ দশমকি ৫ শতাংশ। বর্তমানে বনাঞ্চলের পরিমাণ ১৩ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তবে বিরোধীদল প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গত কয়েক মাসের সহিংসতায় রাস্তার ধারের গাছ এর শিকার হয়েছে। পশুরাও হামলার শিকার হচ্ছে।
গাছ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বন বিভাগ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সামাজিক বনায়নের ক্ষতিগ্রস্তরাও এর আওতায় আসবে বলে জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী জানান, আগে প্রতিবছর চার কোটির বেশি গাছের চারা রোপন করা না হলেও এই সরকারের আমলে প্রতি বছর ১২ কোটির বেশি করে গাছের চারা রোপন করা হচ্ছে।
তিনি জানান, টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ প্যারিসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আদারওয়েজ ম্যানেজমেন্ট অ্যাসেসিয়েশন’ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে ‘দ্য গ্লোবাল গ্রীন অ্যাওয়ার্ড-২০১৪’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩১ মার্চ জার্মানির বার্লিনে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
পাঁচ বছরের সাফল্য তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পরিবেশ ও বন সম্পদের সংরক্ষণে ২৩টি পুরনো আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগী করা হয়েছে।
শিল্প কারখানায় ইটিপি ৩০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ শতাংশে উন্নীত, পরিবেশ দূষণের দায়ে এক হাজার ৩৩৫টির বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ১২২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু বিষয়ে অবদান রাখার জন্য চারটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছি। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণে ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় পরিবেশ পদক এবং ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াল্ড লাইফ কনজারভেশন’ নামে জাতীয় পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল এভিয়ারি নির্মাণের উদ্যোগসহ সামাজিক বনায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান পরিবেশ মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব শাফিকুর রহমান পাটোয়ারীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৩
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর