ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

বৃক্ষ নিধনকারীদের দ্রুত বিচার আইনে বিচারের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩
বৃক্ষ নিধনকারীদের দ্রুত বিচার আইনে বিচারের দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজনীতির নামে বৃক্ষ নিধনকারীদের দ্রুত বিচার আইনে মামলা ও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সহ ১৮টি সংগঠন এ মানববন্ধন অংশ নেয়।

মানববন্ধনে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, যদি মানুষ হত্যা অপরাধ হয়, তাহলে মানুষের জীবন রক্ষাকারী বৃক্ষ নিধনও একই অপরাধ। মানুষ হত্যা করলে যদি কান্না আসে তাহলে গাছ কাটলেও কান্না করা উচিত।

তিনি বলেন, রাজনীতির নামে পরিবেশ রক্ষাকারী লাখ লাখ গাছ কাটা হচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধের চেয়ে কম না। রাজনীতির নামে যারা পরিবেশ ধ্বংস করছে তারাই আবার মুখে বলছে মানুষকে বাঁচানো ও মানবতা রক্ষার জন্য এ গাছ কাটা হচ্ছে।

পরিবেশ ধ্বংসকারীদের মানবতাবিরোধী অপরাপীর সঙ্গে তুলনা করে তাদের দ্রুত বিচার আইনে মামলা ও শাস্তির দাবি জানান তিনি।

বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন পরিবেশ রক্ষায় ছয় দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার জন্য আজ নির্বাচন ব্যর্থ হচ্ছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সহিংসতার শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু, পরিবেশ। এরইমধ্যে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে প্রমাণ করেছে এটি প্রহসনের নিবার্চন।

বাপা’র যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হাবিব বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। শেষ বলে কিছু থাকতে হবে। পরিবেশ আজ রাজনীতির বলি হচ্ছে। রাজনীতির নামে যেভাবে মানুষ ও প্রকৃতি হত্যা হচ্ছে তা জনগণ মেনে নেবে না।

তিনি সহিংসতা বন্ধ করে পরিবেশ ও মানুষকে রক্ষার আহবান জানান।

বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট সভাপতি স্থপতি সাঈদ আহমেদ বলেন, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশ ধ্বংস হোক এটা কারও কাম্য নয়। বৃক্ষ নিধনকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।

সুন্দর জীবন সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, রাজনীতির নামে গত কয়েক মাসে ১২০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে দু’জন বিজিবি সদস্য, ১৭ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৪৫৭ জন পুলিশ। কয়েক লাখ বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে। গাছ নিধন মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।   সরকার জানে কারা এ বৃক্ষ নিধন করেছে।

সিটিজেন রাইটস্ মুভমেন্ট মহাসচিব তুষার আহমেদ দাবি করেন, হেফাজত ইসলামের আন্দোলন থেকে বৃক্ষ নিধনের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। হেফাজত ইসলাম ও কয়েকটি ইসলামী সংগঠন ধর্মের নামে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করেছে।

বৃক্ষ নিধনকারীদের দ্রুত বিচার আইনে মামলার দাবি জানান তিনি।

তুষার আহমেদ বলেন, মন্ত্রী এমপিরা নিবার্চনী হলফনামায় মৎস্যকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছে। মাছ চাষের আড়ালে এসব ক্ষমতাসীনরা পরিবেশ ধ্বংস করে বিপুল পরিমাণ খাল, বিল, জলাশয় ও নদী দখল করেছে। পরিবেশ ধ্বংস করায় তাদের
|
বিরুদ্ধে মানতাবিরোধী অপরাধে মামলা হওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ স্থপিত ইন্সটিটিউট এর সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাপা’র যুগ্ম মহাসচিব শরীফ জামিল, গ্রিন ভয়েস সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ডক্টরস ফর হেলথ্ অ্যান্ড এনভায়রমেন্ট অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন/শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।