ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৩
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। সরকার ও সংগঠনগুলো সমন্বিতভাবে কাজ না করায় দায়ী রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় সম্ভব হচ্ছে না।



তাই ক্ষতিপূরণ আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সমন্বয়ক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ জলবায়ু পরির্বতন সহযোগিতা’ স্লোগানে ‘বৈষ্ণিক জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অবস্থান, ক্ষতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের সহযোগিতায় বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ এর আয়োজন করেন।

ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। সরকার ও সংগঠনগুলো সম্বন্বিতভাবে কাজ না করায় ক্ষতিপূরণ আদায় সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে তৈরি কৌশলপত্রের মাধ্যমে অনেকটা সমন্বয় করা গেছে। অচিরেই এ কৌশলপত্র সরকারকে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ৩৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও তা প‍ুরনো তহবিলের টাকা। নতুন তহবিলের কোনো ক্ষতিপূরণ বাংলাদেশ পায় নি।

এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশ ভালোভাবে প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত বলেও দাবি করেন তিনি।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারও জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে নানা অঙ্গিকার, প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করে নি। এ কৌশলপত্রের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হবে। অর্থায়নের পাশাপাশি প্রযুক্তি সহায়তা ছাড়া জলবায়‍ু মোকাবেলা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, বছরে ২০ লাখ লোক বাড়ছে। জমি বাড়ছে না। খাদ্য নিরাপত্তা বাড়লেও জমি না বাড়ালে এবং জনসংখ্যা, বেকারত্ব বাড়ার কারণেও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না।

জমি রক্ষা, বেকারত্ব কমাতে ও জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবেলায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ জলিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষকদের রি-ইন্সুরেন্স, ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পিকেএসএফ-এর বিশেষজ্ঞ ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু, তাপস চক্রবর্তী, কৃষি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শহীদ উল্যাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৩
আরইউ/কেএইচ/এএ/আরকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।