ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

প্রাণীদের বিশ্বরেকর্ড

জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৩
প্রাণীদের বিশ্বরেকর্ড

ঢাকা: বিশ্বরেকর্ডে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীরাও কিন্তু কম এগিয়ে নয়। বাঘ, বানর, শুশুক, মাছ সবাই রয়েছে রেকর্ডের দৌড়ে।

গিনেস বুকে লিপিবদ্ধ সেসব রেকর্ড।

এবার জেনে নেওয়া যাক গিনেস বুকের কিছু রেকর্ড।

Sellপেরেগ্রিন ফ্যালকন (এক প্রকার বাজপাখি) উড়তে পারা পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতির। এরা ঘণ্টায় ২০০ মাইল বেগে আকাশ থেকে ভূমির দিকে ছুটে আসতে পারে।

ঘণ্টায় ৬৮ মাইল বেগে সাঁতরে সেইল ফিশ হলো সবচেয়ে দ্রুতগতির মাছ।

সবচেয়ে দ্রুত গতির স্থলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী চিতা, ঘণ্টায় ৭০ মাইল পর্যন্ত ছুটতে পারে এরা।

সবচেয়ে দ্রুত গতির জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী উত্তর মেরুর সামুদ্রিক শুশুক। এরা ঘণ্টায় ছুটতে পারে ৩৫ মাইল!!!
উড়তে না পারা পাখিদের মধ্যে সব থেকে দ্রুতগতি উত্তর আফ্রিকান উটপাখি গুলোর। এরা দৌড়োতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ মাইল। আর ওজনেও বিশাল ৩৪৫ পাউন্ড।

সবথেকে বেশি শব্দ উৎপন্ন করতে পারা জলজ প্রাণীটি হলো নীল তিমি। এদের বিস্তার করা সবচেয়ে নিম্ন কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গটির ১৮৮ ডেসিবল মাত্রার শব্দ উৎপন্ন করার রেকর্ড আছে, যা কিনা ৫০০ মাইল দূর থেকেও স্পষ্ট শোনা যায়।

স্থলভাগে এ রেকর্ডটি আছে ‘হউলার মানকি’ নামে এক প্রকার বানরের দখলে। ৩ মাইল দূর থেকেও এদের চেঁচামেচি দিব্যি শোনা যায় । Birthm

স্ত্রী এনোফিলিস মশ‍া হলো সব থেকে মারাত্মক প্রাণঘাতী প্রাণী। ম্যালেরিয়া বহনকারী এ মশার কামড়ে বছরে এক মিলিয়নের অধিক প্রাণ বিলীন হয়।

সামুদ্রিক বোলতা (এক প্রকার জেলিফিশ, যার রয়েছে ১৫ ফুট দীর্ঘ ৬০ টি কর্ষিকা), সবচেয়ে বিষধর প্রাণী। ৬০ জন পূর্ণ বয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলার মতো বিষ মজুদ আছে এর দেহে।

সুমেরীয় টার্ন সবচেয়ে দীর্ঘতম পথ পাড়ি দেওয়া পরিযায়ী পাখি বিশেষ। সুমেরু থেকে দক্ষিণে বছরে ২২০০০ মাইলের আসা যাওয়ার রুটিন আছে এদের।

তবে, স্তন্যপায়ীদের মধ্যে পরিযায়ী চ্যাম্পিয়ন বলা যায় ধূসর তিমি আর সুমেরীয় হস্তি-সীলদের। বছরে যে ১৩ হাজার ০ মাইল ঘুরে- ফেরে এরা নীলের সীমানায়।

সবচেয়ে শক্তিশালী কে? বাঘ? ভাল্লুক? না! সবথেকে শক্তিশালী প্রাণী হলো গণ্ডার পোকা! নিজের ওজনের চেয়ে ৮৫০ গুণ বেশি বহন করতে পারে বলেই তাঁর গলায় এই মেডেল।

সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মায়ের গর্ভে থাকে এশিয়ান হাতি। ১৯-২২ মাস পর্যন্ত গর্ভে থাকার পর পৃথিবীর আলো দেখে এরা।

Timস্থলভাগের সবচেয়ে লম্বা প্রাণীটি হলো জিরাফ। গলা বাড়িয়ে যখন আপনার দিকে নিরীহ দৃষ্টি ফেলে, মনে রাখবেন সেটি অন্তত ১৮ ফিট। আর ওজনটা? পাক্কা ৪০০০ পাউন্ড।

সবচেয়ে ছোট স্তন্যপায়ীটি হলো পূর্ণ বয়স্ক ভ্রমর বাদুড়। ওজন মাত্র ২ গ্রাম।

জলজগতের সবচেয়ে দীর্ঘতম অমেরুদণ্ডী প্রাণীটি হলো দৈত্যকায় স্কুইড। লম্বায় এরা ৪৩ ফিট আর এদের চোখ? সেটিও পেয়েছে সবচেয়ে বড় চোখের মর্যাদা, যা কিনা মোটামুটি মানুষের মাথার সমান। তবে সবচেয়ে বড় স্কুইডটির দৈর্ঘ্য ছিল ৫৯ ফিট।

সবচেয়ে বড় জলজ প্রাণী নীল তিমি। এদের স্ত্রী প্রজাতি সাধারণত ৭৯-৮৯ ফিট পর্যন্ত লম্বা আর ওজনে ১০০ টনের উপরে হতেই পারে। এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে দীর্ঘ নীল তিমিটি ছিল ১০৮ ফিট, আর সবচেয়ে বেশি ওজন রেকর্ড করা হয় ১৯০ টন। giraffe

স্থলভাগে সবচেয়ে বিশালদেহী প্রাণীটি হলো আফ্রিকান হস্তি। আর উচ্চতার দিক থেকে এরা দ্বিতীয়।

বিশালদেহী বুনো পুরুষ মহিষগুলো ওজনে হয় ১৩০০০ পাউন্ডেরও বেশি আর ১২ ফিট চওড়া কাঁধতো আছেই।

এডাল্ট বি হামিং বার্ড হলো সবচেয়ে ছোট পাখি যাদের দেখা যায় কিউবাতে। আর ওজন? ২ গ্রাম মাত্র!
সবচেয়ে ছোট মেরুদণ্ডী প্রাণী অস্ট্রেলিয়ান শিশু মাছ। এদের দৈর্ঘ্য এক সেন্টিমিটারেরও কম!

আর স্থলভাগে এ রেকর্ডটি আছে নারকেল কাঁকড়ার দখলে। আড়াই ফিট দৈর্ঘ্যের এক একটা পা দিয়ে আঘাত করে নিমিষেই নারকেল ভেঙে ফেলতে পারে এরা। ওজনেও বিশাল, ৬.৬ পাউন্ড পর্যন্ত। এদের দেখা মেলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ইন্দো মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad