ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

‘সরকারের মদদে নদী, জলাশয় দখল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৩
‘সরকারের মদদে নদী, জলাশয় দখল’

ঢাকা: টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সরকারের মদদে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ও প্রভাব খাটিয়ে নদী, জলাশয় অবাধে দখল করা হচ্ছে।

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন।



বিশ্বপানি দিবস উপলক্ষে টিআইবি, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), ক্লাইমেট ফাইন্যান্স গভর্নেন্স নেটওয়ার্ক (সিএফজিএন), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশিপ, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ নয় দফা দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যাসহ কয়েকটি নদীর ভেতর ওয়াকওয়ে ও সীমানা খুঁটি বসানো বন্ধ করে স্থায়ী সীমানা নির্ধারণ, জাতীয় পানিসম্পদ নীতিমালা (১৯৯৯) দ্রুত বাস্তবায়ন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়, ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের যোগসাজসে নদী, হাওর, বাওর, খাল-বিল, হ্রদ, জলশায় ও জলমহলসমূহ দূষণ রোধ ও দায়ীদের শাস্তি, পানিসম্পদ কেন্দ্রীয় সব ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ, পানির উৎসসমূহের দূষণ ও দখল রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ, দূষণ রোধে সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার, নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনে প্রণোদনা প্রদান, দূষণ রোধে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন, শিল্পবর্জ্য নির্গমনের বিধিমালার কঠোর প্রয়োগ ও দূষণকারীদের জরিমানা আদায় এবং পশুর নদী থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সরিয়ে নেওয়া।

দাবিগুলো উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অবস্থানকারী ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি নীতিতে ভূ-উপরিভাগের পানির যৌথ ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হলেও শুধুমাত্র ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ভবিষ্যত পানি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। ”

তিনি বলেন, “ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগসহ কয়েকটি নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ না করে নদীর জায়গা দখলদারের হাতে রেখেই হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে নদীর ভেতরে ওয়াকওয়ে ও সীমানা খুঁটি বসানো হচ্ছে। ”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সরকারের মদদ ও প্রভাবশালী মহল হাইকোর্টের রায় অমান্য করে দখল, দূষণ অব্যাহত রেখেছেন। ”

পশুর নদীকে ধ্বংস করতে সরকার বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে একটি আত্মঘাতী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। অবিলম্বে নদী, হাওর, জলাশয় দূষণ, দখল বন্ধ, দোষীদের শাস্তি ও গ্রেফতার, পশুর নদী রক্ষায় এ প্রকল্প অন্যখানে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৩
আরইউ/সম্পাদনা:সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।