ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

টঙ্গীবাজার-উত্তরা থেকে দেশীয় প্রজাতির পাখি-বেজি উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১২
টঙ্গীবাজার-উত্তরা থেকে দেশীয় প্রজাতির পাখি-বেজি উদ্ধার

ঢাকা: ফেরি করে বিভিন্ন ধরনের বন্যপাখি এবং বেজি বিক্রি করার সময় ঢাকার টঙ্গীবাজার ও উত্তরা এলাকা থেকে রোববার দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের ৫১টি পাখি ও ১টি বেজি উদ্ধার করা হয়েছে।

পরে তা ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।



দুপুর ১টার দিকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকার ওয়াল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে এ পাখি ও বেজি উদ্ধার করেন।

অবৈধভাবে অতিথি ও দেশিয় পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী ক্রয়, বিক্রয় প্রতিরোধে টঙ্গীবাজার ও উত্তরা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকার ওয়াল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের কর্মকর্তারা টঙ্গীবাজার ও উত্তরা এলাকায় কয়েকজন পাখি ফেরিওয়ালা দেখতে পান। তারা অভিযানকারী দলের উপস্থিতি টের পেয়ে খাঁচাসহ পাখি ও বেজি ফেলে পালিয়ে যান।

এসময় লালবুক টিয়া ৮টা, টিয়া ১টা, হীরামন ৩টা, লক্ষ্মীপেঁচা ২টা, মুনিয়া ২০টা,  সবুজ ঘুঘু ১টা, চড়ুই ১০টা, ডাহুক ২টা, কালিম ৪টাসহ মোট ৫১টি পাখি ও ১টি বেজি উদ্ধার করা হয়।  

পরে এগুলো মহাখালীর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করা হলে, তা ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় একটি ইউডিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বন্যপ্রাণী পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

উল্লেখ্য, অবৈধভাবে পাখি শিকার ও বন্যপ্রাণী ধরা, হত্যা করা এবং কেনা-বেচা ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২’-এর পরিপন্থি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১২
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।