ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

বিকেলেই সন্ধ্যা নামল রাজধানীতে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
বিকেলেই সন্ধ্যা নামল রাজধানীতে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি রাজধানীতে নেমে এসেছে অন্ধকার। ছবি: আবীর

ঢাকা: তীব্র তাপদাহে গেল কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই রাজধানীতে। তবে আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল থেকেই থেমে থেমে চলছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত।

বিকেলে আকাশে কালো মেঘে অন্ধকার হয়ে আসে রাজধানী। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসে বিকেলেই। গাড়িগুলোকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।

এই পরিস্থিতিতে গেল কয়েকদিনের গরমে অন্তত কিছুটা হলেও স্বস্তির দেখা মেলে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। অন্যান্য স্থানেও বাড়বে বৃষ্টিপাত। ফলে সারাদেশেই দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, পশ্চিম লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ইতোমধ্যে দেশের সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রাজধানীতেও থেমে থেমে সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বরিশালসহ অন্যান্য স্থানেও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে।  

এর মধ্যেও রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সিলেট জেলাসহ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও  কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। ফলে উপকূলে ঝড়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এ জন্য মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।