দারিদ্র্য মানবসভ্যতার একটি অমোঘ বাস্তবতা। কৃষিভিত্তিক উৎপাদনব্যবস্থার শুরুতে ভূমি এবং উৎপাদনের উপকরণের ওপর শক্তিমান সংখ্যালঘুর নিয়ন্ত্রণ লাভের পর থেকেই দারিদ্র্যের সূত্রপাত কিনা তা হলফ করে বলা যায় না।
দারিদ্র্য মানবসভ্যতার একটি অমোঘ বাস্তবতা। কৃষিভিত্তিক উৎপাদনব্যবস্থার শুরুতে ভূমি এবং উৎপাদনের উপকরণের ওপর শক্তিমান সংখ্যালঘুর নিয়ন্ত্রণ লাভের পর থেকেই দারিদ্র্যের সূত্রপাত কিনা তা হলফ করে বলা যায় না।
ছেলেবেলা থেকেই আমরা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে, তাঁর গান ও সৃষ্টির সঙ্গে পরিচিত হলেও পরিচিত নই তাঁর এক প্রিয় সহকর্মী খান মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন নামটির সঙ্গে। হ্যাঁ, তিনিই আমার বাবা। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ-বাংলার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সাংবাদিক, যিনি নজরুলের সময়ে ‘নবযুগ’ পত্রিকায় কাজ করতেন।
বাংলাদেশের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তাঁকে এদেশের একজন রজনৈতিক ভাষ্যকার, প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নিত্য সহযাত্রীও বলা যায়। তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা ১৭০টি।
ফিলিপ রথের ম্যান বুকার প্রাপ্তির প্রতিবাদ
অস্ট্রেলিয়ার নারীবাদী ঔপন্যাসিক ও প্রকাশক কারমেন ক্যালিল ছিলেন সাম্প্রতিক ম্যান বুকার আন্তর্জাতিক পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর তিন সদস্যের একজন।
পাগল হইয়া বনে বনে ফিরি আপন গন্ধে মম
কস্তুরীমৃগসম।
ফাল্গুনরাতে দক্ষিণবায়ে কোথা দিশা খুঁজে পাই না।
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না॥
আমেরিকান কথাসাহিত্যিক ফিলিপ রথ পেলেন এবারের ম্যান বুকার আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ১৮ মে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সাহিত্য উৎসবে ঘোষণা করা হয় পুরস্কার বিজয়ীর নাম। জীবদ্দশাতেই একজন কথাসাহিত্যিকের সমগ্র সাহিত্যকর্মকে মূল্যায়ন করে প্রতি দু বছর পর পর এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করা, অস্ত্র সংরক্ষণ ও বহন করা, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাদান, ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়ানো, গুপ্তচর বৃত্তির মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো অনেক কাজ করেছিলেন বাংলাদেশের নারীরা।
‘প্রতিবুদ্ধিজীবী’র ম্যাক্স বেবার সংখ্যা
বাংলা ভাষায় সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান ও বিশ্বসাহিত্যচর্চার উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে ছোটকাগজ ‘প্রতিবুদ্ধিজীবী’। সম্প্রতি বের হয়েছে ‘প্রতিবুদ্ধিজীবী’র ১৪তম সংখ্যা। বর্তমান সংখ্যাটি করা হয়েছে জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ও আমলাতন্ত্রের জনক ম্যাক্স বেবারকে নিয়ে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশাল রচনাবলির সাগরে ছোট আকারের কবিতার সংখ্যা কম হলেও নগণ্য নয়। চিন্তাউদ্রেককারী অসাধারণ সেসব কবিতার প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে বর্তমান লেখার একটি প্রেক্ষাপট বলা দরকার।
লেখক ও চিন্তাবিদদের চোখে
রবীন্দ্রনাথ ছড়িয়ে আছেন আমাদের নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে। তাই তাঁর জন্মের দেড়শত বছর পরও তিনি হয়ে আছেন সমকালীন ও প্রাসঙ্গিক। এখনো রবীন্দ্রনাথ নানাভাবে আবিষ্কৃত হওয়ার অপেক্ষায় আছেন, তাঁকে ঘিরে এখনো অপেক্ষা করছে নতুনতর বিশ্লেষণ।
ড. উইলিয়াম রাদিচের বিশেষ সাক্ষাৎকার
ড. উইলিয়াম রাদিচের জন্ম উনিশশো একান্নয়, লন্ডনে। দুটো ক্যারিয়ার গড়েছেন একসঙ্গে, একজন কবির, ও রবীন্দ্রনাথ তথা বাংলা ভাষার একজন বিশেষজ্ঞ, সুপণ্ডিতের! মৌলিক ও সম্পাদিত গ্রন্থসংখ্যা ত্রিশেরও অধিক।
রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে এক মস্ত অভিযোগ হলো, তাঁর সাহিত্যে মুসলমানদের বিষয়ে কথা খুব বেশি নেই। যা আছে তাও খুব স্বচ্ছ নয়। রবীন্দ্রনাথ যেভাবে যীশু খ্রিস্ট বা গৌতম বুদ্ধকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, সেরকম উচ্ছ্বাস কখনই প্রকাশ করেননি হজরত মুহম্মদ [স.] সম্পর্কে।
রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যচিন্তায়, কর্ম ও দর্শনে এক ব্যাপক অংশ দখল করে আছে ভারতবর্ষ। প্রাচীনকালে বৈদিক মুনি-ঋষিরা যেমন ভারতচেতনা গঠনে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন-- খাঁটি ভারতীয় চেতনা বলতে আমরা যা বুঝে থাকি, আধুনিককালে রবীন্দ্রনাথ সেই চেতনার একটি সংগঠিত রূপ নির্মাণে আজীবন সচেষ্ট ছিলেন।