ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

শুরু হলো বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিট ২০২০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
শুরু হলো বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিট ২০২০

ঢাকা: টানা চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিট ২০২০’। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এবার অনলাইনে আয়োজিত হবে এই সামিট। 

শুক্রবার (১০ জুলাই) এক অনলাইন সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে সামিটের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপুর সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন।

এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আজকের উদ্ভাবন, আগামীর সম্ভাবনা’।  

দু’দিনের এ সম্মেলনে প্রায় ৩০ জনের অধিক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বক্তা কথা বলবেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংযুক্ত হয়েছেন প্রায় বিশ হাজারের মতো অংশগ্রহণকারী।

সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হচ্ছে বিজনেস সামিট এবং আইটি প্রফেশনালস মিট-আপ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সম্মেলনের সব উদ্ভাবন ও পরামর্শ বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ সর্বাত্মক সহায়তা করবে। পৃথিবীর সামনে যে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে তা মোকাবিলার জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি যেন আমাদের তরুণদের হাতে থাকে এবং তারা এসব বিষয় গবেষণা করে যেন নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে পারে, আমাদের স্থানীয় ও জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধান করে আমরা যেন আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হতে পারি তার জন্য এই ইনোভেশন সামিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এসময় সম্মেলন থেকে যে নতুন নতুন উদ্ভাবন আসবে সেগুলো আইসিটি বিভাগে পাঠানো হলে তরুণ উদ্ভাবকদের ভবিষ্যৎ স্বপ্নপূরণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো উদীয়মান ও জীবন বদলে দেওয়ার যেসব প্রযুক্তি রয়েছে, সেগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেশের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব তৈরি করছে আইসিটি বিভাগ।

আইসিটি বিভাগ উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, আমরা তরুণদের একদিকে যেমন প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করছি, অপরদিকে গবেষণায় তারা যেন উৎসাহ পায়, সুযোগ পায়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কলেজ পর্যায়ে আমরা গবেষণা ল্যাব তৈরি করেছি। একদিকে যেমন ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল গেমিং অ্যাপলিকেশন অ্যান্ড এনিমেশন ল্যাব তৈরি করেছি; অপরদিকে বিগডেটা এনালিটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, সাইবার সিকিউরিটির মতো যেসব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি রয়েছে, যেগুলো ভবিষ্যতে সব অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে মূল ভূমিকা পালন করবে সেগুলো নিয়েও গবেষণার সুযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি করে দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তথ্যপ্রযুক্তি এর সর্বশেষ