ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তির বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন বিল পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১১
তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তির বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন বিল পাস

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা না রাখা, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরামর্শ ছাড়া আদালতের কোনো রায় না দেওয়ার বিধান সম্বলিত বহুল আলোচিত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জাতীয় সংসদে দিনের আইন প্রণয়ন কার্যাবলীতে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে বিভক্তি ভোটে পাস হয়।

এর আগে এটি দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে কণ্ঠভোটে পাস হয়।

প্রথম দফায় সংবিধান সংশোধনে প্রস্তাবিত ৫৫টি দফা বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে বিলের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এতে পক্ষে ভোট পড়েছে ২৮৯টি বিপক্ষে ১টি।

এরপর দ্বিতীয় দফায় বিভক্তি ভোটের সংবিধান সংশোধনী বিলটি পাস হয়। এ সময় পক্ষে ভোট পড়ে ২৯১টি, বিপক্ষে ১টি।

বিলটিতে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের  প্রস্তাব দেন একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিলটি নিয়ে মতদ্বৈততা আছে। সংবিধান নিয়ে জাতি আজ বিভক্ত। প্রয়োজন অনুযায়ী প্যারা-উপ প্যারতে সংশোধনী আনা যেতে পারে। কিন্তু মৌলিক বিষয়ে পরিবর্তন কেন করা হলো। এত তড়িঘড়ির দরকার কি? হোয়াট ইজ দ্যা হারি?’

তিনি  ‘দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলছি’--একথা বলামাত্র মহাজোটের সদস্যরা সমস্বরে হেসে ওঠেন।

সময় শেষে মাইক বন্ধ হলে ফজলুল আজিমের অনুরোধে স্পিকার একবার সময় বাড়িয়ে দেন। পরে আবারো সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেন। স্পিকার তার এই অনুরোধ মেনে না নিলে তিনি কয়েক মিনিটের জন্য ওয়াকউট আউট করেন।

প্রস্তাবিত বিলে সংশোধনী
বিলের ওপর মোট সংশোধনী এসেছে ৬৫টি। এর মধ্যে মহাজোটের শরীক ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন দেন ৭টি, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ৫টি, মইনুদ্দীন খান বাদল ১৪টি, ফজলে হোসেন বাদশা ৪টি, শাহ জিকরুল আহমেদ ৫টি, আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদারের ১টি, সাবের হোসেন চৌধুরীর ২টি, ন্যাপের আমিনা আহমেদ ৪টি এবং একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. ফজলুল আজিম ২৩টি সংশোধনী  দেন।

বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখা হয়েছিলো সামরিক ফরমানের মাধ্যমে। এটি ( সংবিধান) কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে এতে বিসমিল্লাহ যুক্ত করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘দেশবাসী ভেবেছিলো মহাজোট সরকারের সংসদ অবশ্যই ৭২’র সংবিধানে ফিরে যাবে। যেখানে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির সুযোগ থাকবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি সংবিধানের প্রস্তাবনায় বিসমিল্লাহকে বহাল রাখাই হয়নি---পোক্ত করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রধর্ম সংবিধান থেকে বিলুপ্ত করে ‘প্রজাতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলাম। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ খৃস্টানসহ সকল ধর্মবলম্বী মানুষ স্ব-স্ব ধর্ম পালনে সম মর্যাদা ও অধিকার পাইবে’ যুক্ত করা হোক। ’

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমার দল মহাজোটের শরীক। সংসদ যে সিদ্ধান্ত নেবে জোটের ঐক্যের জন্য সেটা আমি মেনে নেবো। এটা মানতে আমরা বদ্ধপরিকর। ’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় যুদ্ধ করেছিলাম। এজন্য দফা ২ ও ৪ দফা বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করছি। উপজাতি বলে কিছু নেই। এখানে একটি বিভ্রান্তি আছে। এদেশে বাঙালি ছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন জাতি সত্ত্বার মানুষ বসবাস করে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম বলে কিছু থাকতে পারে না। ’

মইনুদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘মহামানব বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ থেকে সরে যাওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এমন কিছু করা উচিত না, যার ফলে এই জনগোষ্ঠীর প্রবল প্রাচীর নষ্ট না হয়। ’

বিলের সংশোধনীর ওপর কথা বলার সময় ফজলুল আজিম বলেন, ‘দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের জোরে এই সরকার যদি সংবিধান সংশোধন করে তাবে তা হবে ঐতিহাসিক ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার রেখে দেওয়া হোক। বিরোধীদলকে ডেকে পরে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। ’

তিনি বলেন, ‘এখানে উপস্থিত অনেক সদস্যের মনের কথা এটাই আমি জানি। ’

এ সময় মহাজোটের সদস্যরা ‘না’ বলে প্রতিবাদ জানান।

সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ওপর সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছেন।

তবে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ চারদলীয় জোট ও এলডিপির একমাত্র সদস্য অলি আহমেদ বিলের ওপর কোনো সংশোধনী দেয়নি।

বিলের সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপনের পর আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, ‘ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি এই বিলে সঠিকভাবে উঠে এসেছে। ধর্মেই বলা  হয়েছে-ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। আমরাও সেটা করছি। বঙ্গবন্ধুর মতবাদ ও জনগণের চেতনর সাথে একমত  হয়েই আমরা ধর্মকে রেখেছি। ’

নাগরিকত্ব বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিলে বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। ’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ফজলুল আজিমের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক কোনো সরকার সংবিধানে আপনি রাখতে পারবেন না। উচ্চ আদালত যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বাতিল করেছে সেখানে এটা আমরা সংবিধানে রাখতে পারি না। ’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র আমাদের মূলনীতি। সেই নীতির বিরুদ্ধে আমরা যেতে পারি না। সমস্ত কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে আদালত রায় দিয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে যেয়ে আমরা কিছু করতে পারি না। এই কারণে বলছি, সংসদের ক্ষমতা সংবিধান অনুযায়ী নির্ণীত আছে। ’

তিনি বলেন, ‘যে সংশোধনীগুলো এখানে দেওয়া হয়েছে তা গ্রহণ করার যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। ’
এরপর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়। এ সময় শুধু মাত্র প্রস্তাবকারী সদস্যরা ‘হ্যাঁ’ বলেন।
এরপর স্পিকার বিলের যাবতীয় প্রস্তাব বিভক্তি ভোটে দেওয়ার প্রস্তাব করলে তা সংসদ গ্রহণ করে। এর আগে প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে পাস হয়।

পরে স্পিকার বিভক্তি ভোট দেওয়ার নিয়ম বর্ণনা করেন।

আপত্তি দিয়ে ভোট দিলেন ৫ জন
বিভক্তিভোটের সময় ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মইনুদ্দীন খান বাদল, ফজলে হোসেন বাদশা, আমিনা আহমেদ, শাহ জিকরুল আহমেদ। ভোট দেওয়ার সময় এই সদস্যরা নিজ আসনে বসে থাকেন।

টেকনোক্রাট মন্ত্রীদের ভোট দেওয়ার বিধান না থাকায় তারাও সংসদ কক্ষে বসে থাকেন।

ভোট গ্রহণের শেষ পর্যায়ে ভোট দানে বিরত থাকা সদস্যদের সঙ্গে পরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ, তোফায়েল আহমেদ, ফজলে রাব্বি মিয়া ও হুইপ আসম ফিরোজ তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় তারা জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্যদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। পরে আমিনা আহমেদ ছাড়া বাকি ৫ জন বিলের ২,৪,,৬,১৪, ও ১৬ দফার উপর আপত্তি দিয়ে ভোট দেন।

শুধুমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিম ‘না’ লবিতে গিয়ে ভোট দেন।

এরপর তোফায়েল আহমেদ সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসনিকে বিষয়টি বর্ণনা করেন।

অধিবেশন শেষ হওয়ার  হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিলের দফার বিভক্তি ভোট দেওয়ার অুনরোধ জানালে আমরা  কয়েকটি দফার উপর আপত্তি দিয়ে ভোট দেই। ’

এরপর আইন মন্ত্রী বিলটির পাশের প্রস্তাব করেন। পরে এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ জুলাই সংবিধান ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সংবিধান সংশোধনে লক্ষ্যে বিশেষ কমিটি গঠিত হয়।

গত ৮ জুন এই কমিটি ৫১ সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সংসদে উত্থাপন করে। মন্ত্রিসভা গত ২০ জুন বিলের খসড়া অনুমোদন দেয়। পরে গত ২৫ জুন এই বিল সংসদে উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।

পরে এই বিলটি পরীক্ষা করে ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

২৯ জুন বুধবার এই বিলের রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক ন্ত্রণালয় ম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

৪ দফা ওয়াক আউট আজিমের
সংবিধান সংশোধনের পুরো প্রক্রিয়া চলাকালে মোট ৪ বার ওয়াক আউট করেন একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য মো. ফজলুল আজিম।

প্রথম দফায় সময় বাড়ানোর দাবি জানালে স্পিকার সেটা না মানলে তিনি ওয়াক আউট করেন। বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হওয়ায় তিনি দ্বিতীয় দফায় ওয়াক আউট করেন।

এরপর পর বিলের উপর দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাব গুলো কণ্ঠ ও বিভক্তি ভোটে পাশ হওয়ার পর তিনি ৩য় দফায় ওয়াকা আউট করেন।

সর্বশেষ বিলটি কণ্ঠ ও বিভক্তি ভোটে পাশ হলে তিনি ওয়াক আউট করেন।

দিনের আলোয় সংবিধান সংশোধন
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হয়ে যাওয়ার পর স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেন, ‘এর আগে সবসময় রাতেই সংবিধান সংশোধন হয়েছে। এবারই প্রথম দিনের আলোয় সংবিধান সংশোধন হলো। ’

তার এই কথার পর প্রধানমন্ত্রীসহ সকল সদস্য টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান।

আইনমন্ত্রী বিভক্তি ভোটে অংশ নিতে পারলেন না
বাংলাদেশের ২৩ বছর সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে একজন টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সংবিধান সংশোধনীর প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

বাংলাদেশের প্রথম পার্লামেন্টে ড. কামাল হোসেন ও মনোরঞ্জন ধর আইনমন্ত্রী ছিলেন। তাদের আমলে চার বার সংবিধান সংশোধনী হয়।

বিএনপির প্রথম আমলে আইনমন্ত্রী ছিলেন মির্জা গোলাম হাফিজ এবং দ্বিতীয় দফায় বিএনপিসহ চার দল ক্ষমতায় এলে আইনমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

জাতীয় পার্টির শাসন আমলেও তিনিই আইনমন্ত্রী ছিলেন।

জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা থাকালীনসহ বিএনপির মোট শাসনামলে মোট ৬ বার ও জাতীয় পার্টির আমলে ৪ বার সংবিধান সংশোধন হয়।
 
এবার ১৫ তম সংশোধনীর বিভক্তি ভোটের সময় সংসদ থেকে সকল সদস্য বের হয়ে লবিতে গেলেও তিনজন টেকনোক্রেট মন্ত্রী সংসদে উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, দিলীপ বড়–য়া ও ইয়াফেস ওসমান।

অনুপস্থিত সংসদ সদস্য
১৫তম সংশোধনী পাশের সময় মহাজোটের ১২ জন সদস্য সংসদের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চারদলীয় জোটের ৩৯ জন ও এলডিপির ১ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।

মুদ্রণ ও ক্লারিক্যাল ত্রুটি আপনাআপনি সংশোধন হবে
প্রথম দফা বিভক্তি ভোটের পর স্পিকার আবদুল হামিদ সংসদের অনুমতি নেন দ্বিতীয় দফা বিভক্তি ভোটের। এ সময় তিনি ঘোষণা করেন মুদ্রণজনিত, ক্রমজনিত, ক্লারিক্যাল ত্রুটি থাকলে সংবিধানে তা আপনাআপনি সংশোধন করে নেওয়া যাবে। এ সময় ২টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয় দফা বিভক্তি ভোট হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ