চট্টগ্রাম: ঢাকার শাপলা চত্বরে ৫ মে’র ঘটনার পর অনেকটা আত্মগোনে চলে গেলেও প্রায় ৬মাস পর আবারও প্রকাশ্যে এসেছেন হেফাজতে ইসলামের সেই আলোচিত নেতা মঈনুদ্দিন রুহি।
তবে ৫ মে‘র আগে হাটহাজারী, নগরীতে সংবাদ সম্মেলন, সমাবেশ বা সংগঠনের কর্মসূচি নিয়ে সরব থাকলেও এ হেফাজত নেতাকে রোববার নীরব দেখা গেছে।
রোববার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা সদরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবু নগরীর পাশে ছিলেন রুহি।
কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা আইন-২০১৩ পাস করা থেকে বিরত থাকার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হেফাজত ইসলাম। এতে জুনায়েদ বাবু নগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মিডিয়ার সরব থাকা হেফাজত নেতা ৫ মে ঢাকা শাপলা চত্ত্বরের ঘটনার পর আত্ম গোপনে চলে যান। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
শাপলা চত্বরে ঘটনার পর তিনি কিছুদিন হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল মাদ্রাসায় এবং কিছুদিন ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসায় গোপনে অবস্থান করেন। এসময়ে তার বিরুদ্ধে হেফাজতের একটি বড় অংশ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংগঠন থেকে বহিস্কারের দাবি জানান।
হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বলেছেন মাওলানা রুহিসহ কয়েকজন নেতার কারণে হেফাজতের ১৩ দফা আন্দোলন মাঝপথে হোঁচট খায়। এ কারণে গত ২১ সেপ্টেম্বর ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসা মাঠে হেফাজতে ইসলামের সম্মেলনের আগে রুহিকে সংগঠন থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে লিফলেট বের করেন বিরোধীরা। পরে সম্মেলনে গেলে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়া হেফাজতের ২৫ সদস্যের নীতি নির্ধারণী কমিটি “মজলিশে সূরা”তেও তাকে রাখা হয়নি।
সূত্র জানায়, মাওলানা রুহি হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় প্রকাশ্যে বিরোধীরা মুখ খুলছেন না।
রোববারের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফের মিডিয়ার সামনে আসাকে অনেকে রুহির পুন:আর্ভিভাব’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য সংবাদ সম্মেলনে বাবু নগরীর পাশে এবং মাদ্রাসায় সাংবাদিকদের সাথে পৃথক মতবিনিময়ের সময়ও হেফাজতের আমির আল্লামা আহমদ শফীর পাশে ছিলেন আলোচিত এ হেফাজত নেতা।
বাংলাদেশ সময়:২১৫৮ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৩
এমইউ/টিসি