ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬ সফর ১৪৪৭

বিনোদন

তাদের একলা ঘর একলা দেশ

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৮, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৩
তাদের একলা ঘর একলা দেশ

হাজারো প্রতিশ্রুতি আর রঙিন স্বপ্ন নিয়ে সংসার বাঁধেন তারা। কিন্তু পরম ভালোবাসাও একসময় চরম জ্বালাতে পরিণত হয়ে ওঠে।

কেউ জীবনের সামগ্রিক দিক চিন্তা করে সামলে চলেন। কেউবা জীবনের সাথে আপোষহীন থাকতে চান না।

কলকাতার গায়ক রুপমের সেই গানের মত করে বলতে হয় ‘একলা ঘর আমার দেশ, একলা থাকার অভ্যেস’। এ ভাবনা নিয়েই তাই পরের পথটুকু চলা। আমাদের শোবিজ জগতে এমন বেশ ক’জন তারকা আছেন যারা সংসার ভাঙনের পর আর সংসার গড়েননি। পেয়ে হারানোর বেদনা অথবা তিক্ত স্মৃতি ভুলতে না পারা-ই হয়তো মূল কারণ। তেমন কয়েকজনকে নিয়েই এই আয়োজন।

আফসানা মিমি
mimiব্যতিক্রমী নামের একটি নাট্য দলে কাজ করতেন আফসানা মিমি। সেখান থেকেই পরিচয় নির্মাতা-অভিনেতা গাজী রাকায়েতের সাথে। পরবর্তীতে দুজন একসাথে চলে আসেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে। এভাবে কাজ করতে করতেই সখ্যতা গড়ে ওঠে আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের। সখ্যতা গড়ায় প্রেমে। অতঃপর বিয়ে। কিন্তু বিয়েটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের। সেই থেকে এখনো একা পথ চলছেন মিমি। ব্যস্ত আছেন পরিচালনা নিয়ে। অপরদিকে রাকায়েত দ্বিতীয় বিয়ে করে বেশ সুখেই আছেন। পরবর্তীতে আফসানা মিমির সঙ্গে আযম রেজা নামের একজনের সঙ্গে পরকীয়ার নানা গল্প আর গুঞ্জনও শোনা গেছে নানা সময়ে।

তারানা হালিমtarana
রাজপথে নানা ইস্যুতে হরহামেশাই দেখা যায় তারানা হালিমকে। এখনকার পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ তারানা হালিমের প্রথম পরিচয় তিনি একজন অভিনেত্রী। বর্তমান জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সদস্য হওয়ার পর অভিনয়ে তার উপস্থিতি কমে যায়।

তারানা হালিম বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা আহমেদ রুবেলকে। ভালোই কাটছিলো বিয়ের প্রথম দিকের সময়। তবে সে ভালো থাকা ছিলো স্বল্প সময়ের। তারানা হালিম এবং আহমেদ রুবেলের সংসার টিকেনি বেশি দিন। ডির্ভোসের পর তারানা হালিম আর নতুন করে বিয়ে করেননি। একলাই থাকছেন একলা ঘরে।

রোকেয়া প্রাচী
prachiপ্রথম স্বামী নাট্যাভিনেতা সার্জেন্ট আহাদ পারভেজের মৃত্যু হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক আসিফ নজরুলকে বিয়ে করেন রোকেয়া প্রাচী।

সংসারে তাদের এক সন্তানও জন্ম নেয়। তবে আট বছর ছয় মাস সংসার করার দুজনের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে। প্রাচী এখন আলাদা থাকেন। বাকী জীবনটা দুই সন্তান নিয়েই কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

 

তারিন
পরিচালক আমজাদ হোসেনের ছেলে অভিনেতা-পরিচালক সোহেল আরমান। তারিন তার বাবা-মা’র অজান্তে tarinরীতিমত পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন সোহেলকে। প্রথমে গোপন রাখলেও পরবর্তীতে জানাজানি হয় ঘটনাটি।

২০০১ সালের ঘটনা এটি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙ্গে যায় সে সম্পর্ক। সোহেল আরমান দ্বিতীয় বার বিয়ে করেও সংসার করতে পারেননি। আবারও সেই ডিভোর্স। বিয়ে করবেন কিনা প্রশ্নের জবাবে তারিন বাংলানিউজের এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সারা জীবন একা কাটানো কঠিন। তবে একই ভুল আবারো করতে চাই না। বিয়ের ব্যপারে এবার বাবা মা’র ওপর নির্ভর করতে চাই। ’

তবে বিভিন্ন সময় এক সঙ্গীত পরিচালককে জড়িয়ে গুজব শোনা গেছে তারিনের নামে। আমেরিকা প্রবাসী পাত্রকে বিয়ে করেছেন এমন কথাও ভেসে বেড়ায় মিডিয়া পাড়ায়।

জয়া আহসান
joyaমডেল ফয়সালের সাথে জয়ার সংসার ছিল দ্বিতীয় বিয়ের। তবুও প্রথমদিকে সুখেরই ছিল তাদের সংসার। কিন্তু নিজেদের মধ্যকার কোন এক অপ্রকাশিত কারণে ঠিক বনিবনা হচ্ছিল না। ধীরে ধীরে অসহনীয় হয়ে ওঠে সেই সংসার।

শেষমেষ স্বামী ফয়সাল হাসপাতালে থাকাবস্থায় তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান জয়া। তারও বেশ কিছুদিন আগে থেকে দুজন আলাদা থাকছিলেন।

মজার ব্যপার, তাদের এই সংসার ভাঙনকে কেন্দ্র করে দুজনের কেউই কখনোই কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি। জয়া এখন তুমুল ব্যস্ত চলচ্চিত্র নাটকে অভিনয় নিয়ে। নতুন সংসারে জড়ানোর কোন লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

তিন্নি
tinniমিডিয়ায় তিন্নির অভিষেকের পরপরই তাকে নিয়ে শুরু মাতামাতি। গ্ল্যামারাস এই মডেল অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েন অভিনেতা হিল্লোল। সাড়া দেন তিন্নিও। প্রেম নিয়ে লুকোচুরি কম করেননি তিন্নি-হিল্লোল। তাদের মধুর ভালোবাসার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে বিয়ের মাধ্যমে। বছর গড়াতেই ঘরে আসে এক কন্যা সন্তান। নাম ওয়ারিশা।

কিন্তু বছর তিনেক পর থেকেই সংসারে অমিল-অশান্তি। আর তা এতটাই প্রকট আকার ধারণ করে যে দুই বছর বয়সী সন্তান থাকার পরও আলাদা থাকতে শুরু করেন দুজন। বছরাধিক কাল আলাদা থাকার পর আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় আলোচিত এই দম্পতির। তারপর থেকে একা-ই আছেন তিন্নি। নেই মিডিয়াতেও।

তানিয়া হোসেন
taniaঅন্যান্য তারকার মত অভিনেত্রী তানিয়াও দেবাশীষ বিশ্বাসের সাথে ঘনিষ্টতাকে বন্ধুত্ব বলেই চালিয়ে দিতেন একটা সময় পর্যন্ত। তারপর দেখা গেল ঠিকই বিয়ে করে ফেলেছেন। কিন্তু তানিয়া মুসলমান বলে ছেলের বউ হিসেবে তাকে মেনে নিতে পারেননি দেবাশীষের মা।

আবার তানিয়াও ছিলেন দেবাশীষের ওপর অসন্তুষ্ট। কাছের মানুষের কাছে দেবাশীষের নামে নানা অভিযোগ করেছিলেন তানিয়া।

এ নিয়ে দুজনার সম্পর্কের ফাটল তৈরি হয়। ফলাফল বিয়ের এক বছরের মাথাতেই দুজনের বিচ্ছেদ। এরপর থেকে একলাই থেকে যান তানিয়া হোসেন।

জেনিjeni
বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী জেনি। খুব বেশিদিন টেনে নিতে পারেননি সংসার। এরপর থেকে একলা আছেন এই অভিনেত্রী-মডেলও।

 

 

বাংলাদেশ সময় : ১৭১০ ঘণ্টা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
এসএ/জিআর/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বিনোদন এর সর্বশেষ